পেঁয়াজের ভালো দামে বাড়ল চাষ

দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ১৩

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গত বছর ভেজাল বীজের কারণে পেঁয়াজের ফলন কম হওয়ায় চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তাই উপজেলার প্রধান অর্থকরী এই ফসল চাষাবাদ থেকে তাঁরা অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে বাজারে চড়া দাম থাকায় চলতি অর্থবছরে আবারও পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন তাঁরা। মাঠে মাঠে এখন পেঁয়াজের চারা রোপণে চাষিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

চাষিরা বলছেন, ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দামে তাঁদের চেহারা ছিল মলিন। তবে অসময়ে বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় তাঁরা খুশি। সে জন্য অতীতের তুলনায় অধিক জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ বছর পেঁয়াজ চাষে বিঘাপ্রতি পাঁচ-সাত হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। জমি চাষ, বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যা, সার, কীটনাশকসহ প্রতি বিঘা পেঁয়াজ চাষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় ৫০ থেকে ৬৫ মণ ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা চাষিদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমারখালীতে মোট কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর। তার মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে ৯০০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষের প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট ও চাপড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী ১৫ থেকে ২০ জন মিলে দলবদ্ধভাবে চারা রোপণ করছেন। একজন লোহার ছোট লাঙল দিয়ে সারি টানছেন। আর অন্যরা সারিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। কাজের ফাঁকে যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের নীলের মাঠের কৃষক হাফিজ শেখ জানান, দুই বিঘা জমিতে তিনি চারা রোপণ করছেন। বিঘাপ্রতি তাঁর খরচ পড়ছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ ফলনের প্রত্যাশা করছেন।

কামাল হোসেন নামে আরেক কৃষক জানান, ভরা মৌসুমে লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষাবাদে হতাশ হয়েছিলেন তাঁরা। তবে শেষ সময়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। অসময়ে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের আবাদ বাড়বে বলে জানান তিনি। তাঁর ভাষ্য, এ বছর চাষে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে চাষিদের।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাসের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি অর্থবছরে ২৫০ জন কৃষককে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদান করা হয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজের চারা রোপণ চলবে। শেষ সময়ে পেঁয়াজের চড়া দাম থাকায় চাষিরা এ ফসল চাষে ঝুঁকেছেন। এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত