শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
পথের কথা
হাজারো চাবি বানানো শামসুল পাননি ভাগ্যের দরজার চাবি
কত নষ্ট তালাকেই তো ঠিক করলেন। কত রুদ্ধ দরজা খুলে গেল তাঁর দক্ষতার গুণে। অথচ নিজের ভাগ্যের দরজাটি আজও খোলা হলো না। তালা-চাবি মেরামত করে ৫৫ বছরের জীবন কাটিয়ে দেওয়া শামসুল ইসলামের হাতে আজও আসেনি সেই ভাগ্যের দরজার চাবিটি।
ব্যস্ত সড়কে বিশাল গর্ত, পড়ে গিয়ে পথচারী নারীর কান্না
রামপুরা ব্রিজের কাছে যে পুলিশ বক্স, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার কাছাকাছি পৌঁছাতেই হঠাৎ কানে এল একটা চিৎকার। ফিরে তাকাতেই চোখে পড়ল বিশাল এক গর্তের সামনে এক নারী বিলাপ করছেন। পাশে আরও দুজন কাঁদছেন। এগিয়ে যেতেই বোঝা গেল ঘটনা—এক নারী রাস্তায় থাকা এক বিশাল গর্তে পড়ে গেছেন।
৫০ বছর ধরে হাতুড়ি পিটিয়ে চলছে রবিউলের সংসার
‘বয়স তখন ১৩। পড়া-লেখার সুযোগ পায়নি। দরিদ্র পরিবারের রুজির (আয়) জন্য বাবার পেশা কামারের কাজে লেগে পড়ি। কিন্তু তেমন আয় না থাকলেও ৬২ বছর বয়সেও আছি বাবার পেশায়।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম।
‘তাড়াতাড়ি লইয়া যান মজার শনপাপড়ি’
‘এই গুরাগারা (শিশু) পোলাপান, কাইন্দা কাইট্টা পয়সা আন, মায়রে বোলা আম্মাজান, তাড়াতাড়ি পয়সা দেন। তাড়াতাড়ি লইয়া যান মজার শনপাপড়ি।’ এভাবেই ছন্দে ছন্দে ঘণ্টি বাজিয়ে শনপাপড়ি বিক্রি করছেন ৬৩ বছরের আব্দুস সালাম তালুকদার।
‘এখন আর কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পরে না’
বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন তাঁদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এই পেশায় কাজ করে পাঁচ সদস্যের পরিবার এখন আর চলে না। অন্য কোনো কাজও করতে পারি না। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পরে না। আমাদেরে কেউ সাহায্যও করে না।
‘বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বসলে ভালো বেচাকেনা হয়’
গত কয়েক মাস ধরে রাজধানীর নয়া পল্টন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাস্তার ওপর বসছে এমন কাঁচাবাজার। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর জমে ওঠে এই বাজার।
জীবনসংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য প্রতিবন্ধী বনু মিয়া
জীবন মানেই যুদ্ধ। জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতা ঠেলে জীবনসংগ্রামে টিকে আছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বনু মিয়া। ভিক্ষাবৃত্তি বেছে না নিয়ে তিনি আত্মপ্রত্যয়ে হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে গ্রামগঞ্জের পথে পথে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও নারকেলের খাজা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে
টার্মিনালে কার অপেক্ষায়
সবে মাত্র সূর্যটা অক্ষাংশ অতিক্রম করে পশ্চিমে হেলে পড়েছে। নীলাভ আকাশে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘমালা তুলোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছে। একটি কাকের ঝাঁক কী কী করতে করতে চোখের পলকে উড়ে গেল। শহরের গাড়িগুলো টার্মিনালে সামান্য বাঁক নিয়েই দ্রুতবেগে ছুটে চলেছে গন্তব্যে। শুধু কিছু বাস থেমেছে যাত্রী ওঠানামার তাগিদে।
শীত এলেই ঘরে সুখ আসে মমেনার
শীতের আগমনী বার্তা মমেনা বেওয়ায় ক্লান্ত শরীরে যেন একটু সুখের অনুভূতি নিয়ে আসে। বছরের ছয় মাস বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করেন তিনি...
দুই চাকায় জীবিকা
তখন ভোর ৬ টা। সাইকেল নিয়ে ঘাটাইল কলেজ রোডে ওঠে এলেন সিরাজুল ইসলাম (৪৫)। দুই হাতে ধরে আছেন হরেক রকম তৈজসপত্রে ঠাসা একটি বাইসাইকেল। তাঁকে অনুসরণ করে আরও পাঁচ যুবক একইভাবে সড়কে উঠে এলেন। তারা কলেজের সামনে একটা খুপরিতে থাকেন। সাইকেলে হরেক রকম জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করাই তাঁদের পেশা
শীতের চেয়েও ভয়ানক এখন ঋণের কিস্তি
কুয়াশা ভরা সকাল। ঘাড়ে মোটর গাড়ির ফুলানো টিউব, সঙ্গে ঢাকি কোদাল এবং চালনি। গন্তব্য মহানন্দার ঠান্ডা জলরাশি। উদ্দেশ্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যস্ত নদীর বুক থেকে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসারের জোগান। সঙ্গে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা চাপ। এই হলো জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লাগাতার যুদ্ধ করা যোদ্ধা রহম
সিটিং সার্ভিস কি বন্ধ হবে?
বাস মালিক সমিতি ২০১৭ সালে তথাকথিত ‘সিটিং সার্ভিস’ ও ‘গেটলক’ পদ্ধতি বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল তারা। এবার আবারও একই উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। গত রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে তিন দিনের মধ্যে ঢাকায় সিটিং সার্ভিস ও গেটলক ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি। ত
ককন কুদি নদী আইসে, কওয়া যায় না...
মুনছুর আলী বয়োবৃদ্ধ, কর্মক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে গেছে। জয়রাম মাজারের বাড়ি ভেঙে গেলে পার্শ্ববর্তী বিজয় বাঁধ গ্রাম, শংকরদহ, মহিপুরসহ কয়েকটি স্থানে ঘর-বসতি করেন মুনছুর। কিন্তু তিস্তা কোনোখানেই তাঁকে নিস্তার দেয়নি। এভাবে এক জীবনে প্রায় একশবার বাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানান জোহরা ও তাঁর ছেলে জাহিদুল ইসলাম।
কনস্টেবল নিয়োগের ভাইভাও যেন বিসিএস!
কনস্টেবল নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দিতে ঢুকেছিল ছেলেটি। বের হয়ে জ্যাকেটটি খুলে মায়ের হাতে দিতেই উদ্গ্রীব মায়ের প্রশ্ন—‘পরীক্ষা কেমন হলো বাপ?’ ছেলেটি বলল, ভাইভা তো না, যেন বিসিএস পরীক্ষা!
‘ভাড়া চাইতে পারি না, লজ্জা লাগে’
গণপরিবহন নেই। ভারী যানবাহনেরও চলাচল নেই। এ হিসেবে রাস্তা ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু তেমনটি নয়। বরং বিভিন্ন স্থানে বেশ জটলা করে আছে গাড়িগুলো। তারপরও মোড়ে মোড়ে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা মানুষের জটলা কমছে না। এত ভিড় ঠেলে তবু এগিয়ে যাওয়া যাচ্ছে দু-চাকার জোরে। একে পাশ কাটিয়ে, তাকে পিছে ফেলে এগোনো যাচ্ছে। মোটর
৫ বছর ধরে ভ্যানেই কাটছে বৃদ্ধ দম্পতির জীবন
ভ্যানে শুয়ে আছেন ৮০ বছর বয়সী রাবেয়া বেগম। ভ্যান চালান তাঁর ৮৫ বছর বয়সী স্বামী খলিল শেখ। এভাবে ঘুরে যখন যেখানে রাত হয় সেখানে খোলা আকাশের নিচেই ঘুমিয়ে যান। ৫ বছর ধরে এভাবে ভ্যানে ঘুরে ঘুরেই চলছে তাঁদের জীবন; এটিই তাঁদের সংসার।
বৃদ্ধ মোজাম্মেলের পান বিক্রির টাকায় চলে সংসার
বয়স আশির কোটা ছাড়িয়ে নব্বইয়ে পড়েছে। বয়সের ভারে চোখে এখন চোখে কম দেখেন, আছে নানাবিধ শারীরিক জটিলতা। তবুও পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র ভরসা মোজাম্মেল মিয়া। এ জন্য সব বাঁধা উপেক্ষা করে তাঁকে ছুটতে হয় পানের বাক্স নিয়ে। এই পান বিক্রি থেকে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে মোজাম্মেলের সংসার।