বিভুরঞ্জন সরকার
বাংলাদেশের মানুষের কাছে কয়েকটি মাস বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়। যেমন ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস, মার্চ স্বাধীনতার মাস, আগস্ট শোকের মাস, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এই মাসগুলো এলে আমরা অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। কোন মাসে কী অর্জন করেছি, কোন মাসে কী হারিয়েছি, তা নিয়ে আলোচনা হয়, স্মৃতিচারণা হয়, শপথও নেওয়া হয়। আমাদের আনন্দ ও বেদনা সবই যেন মাসকেন্দ্রিক, দিবসকেন্দ্রিক।
ডিসেম্বর কেন আমাদের বিজয়ের মাস? কারণ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের অনেক অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের মুক্তিবাহিনী বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিল মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে। মানুষ মুক্তি ও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল।
ডিসেম্বর এলে আমিও স্বাভাবিকভাবেই তারুণ্যদীপ্ত হয়ে উঠি। মনে হয় আমি বুঝি সেই কলেজপড়ুয়া তরুণই আছি। হ্যাঁ, একাত্তরে আমি যখন দিনাজপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখনই শুরু হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তারপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা শুরু করে নৃশংস গণহত্যা। নিরস্ত্র বাঙালি রুখে দাঁড়ায়, ‘যার যা আছে’ তা নিয়ে শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ। প্রতিবেশী ভারত তখন উদারভাবে আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ভারতে আশ্রয় নিয়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা যুদ্ধ করি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যুদ্ধ ৯ মাস স্থায়ী হয়েছিল।
আমার নিজের জেলা (১৯৭১ সালে অবশ্য জেলা ছিল না) পঞ্চগড় মুক্ত হয়েছিল ৩০ নভেম্বর এবং আমার আবাসস্থল বোদা থানা হানাদারমুক্ত হয়েছিল ১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে আমি শরণার্থীজীবনের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পতিরাম থেকে ২ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি বোদার উদ্দেশে রওনা দিই। সারা দিন সড়কপথে নানা মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে বিকেল হয়ে যায়। যখন মানিকগঞ্জ সীমান্ত অতিক্রম করলাম, তখন সন্ধ্যা হয় হয়। পথঘাট চিনি না। তবে ৯ মাসের উদ্বাস্তু জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাড়ি ফেরার তীব্র টানে হাঁটতে শুরু করলাম। শীতের সময়। সঙ্গে শীতবস্ত্র ছিল না। তবে হাঁটার কারণে তেমন ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল না। কয় ঘণ্টা হেঁটেছি, বলতে পারব না। একসময় ক্লান্তিতে শরীর অবশ হয়ে আসছিল। আর চলতে পারছিলাম না। দীর্ঘ পথে আমি একা পথিক। অবসন্ন শরীর যখন নেতিয়ে পড়ছিল, তখন অপরিচিত এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান।
শীতের রাতে ওই ভদ্রলোকের বাড়িতে যে আতিথেয়তা পেয়েছিলাম, তা সারা জীবন মনে থাকবে। আর মনে থাকবে সেই রাতের তাঁর একটি কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘বাবু, আপনারা তো “হিন্দুস্থানে” গিয়ে আরামে ছিলেন। এখানে আমাদের কত বিপদ। একদিকে পাকিস্তানি মিলিটারির ভয়, অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর ভয়।’
কথাগুলো তখনই আমার কানে বেজেছিল। আমরা যারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম তারা ‘আরামে’ ছিলাম বলে অবরুদ্ধ দেশের ভেতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের ধারণা হয়েছিল। কিন্তু শরণার্থীর জীবন যে আরামের ছিল না, সেটা কি আর কোনো দিন তাঁরা বুঝতে পেরেছেন? তাঁদের কি আর সেটা বোঝানো হয়েছিল? আবার অবরুদ্ধ দেশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই কি নিরাপদ ছিলেন অথবা সবাই কি ছিলেন পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী বা দোসর?
আমি বোদা বাজারে আসি ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে। আমিই ভারত থেকে বোদায় ফেরা প্রথম ‘শরণার্থী’। বাড়ি ফিরে আমার দুই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। বাড়ি কোথায়? এ তো মনে হচ্ছে চাষের জমি! ঘরদুয়ারের চিহ্ন নেই। টিনের ঘর ছিল আমাদের। অনেকগুলো ঘর ছিল। সবকিছু লুট করে খালি ভিটা ফেলে রেখেছিল। ঘরের চিহ্নও ছিল না।
দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে, আবার দেশে ফিরতে পেরেছি, সেই আনন্দের চেয়ে অন্য কষ্টের বিষয়গুলো আমার কাছে তখন তুচ্ছ ছিল, এখনো আছে। মানুষের পক্ষবদল, রূপবদল আমি কাছ থেকে দেখেছি। কিছু মানুষের বিদ্বিষ্ট মনোভাবের পাশাপাশি অনেকের উদারতাও দেখেছি।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য উচ্ছ্বাস-উল্লাসের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ভাঙার নীরব মনোবেদনাও কারও কারও মধ্যে তখন লক্ষ করেছি; যা ধীরে ধীরে না কমে বরং বেড়েছে। এই যে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আজ পশ্চাৎযাত্রা, তার কিছু আলামত কিন্তু যুদ্ধ জয়ের মুহূর্তেও লক্ষ করেছি।
নানা ছোটখাটো ঘটনায় তখনই আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, আমরা বাইরের শত্রু পরাজিত করেছি, কিন্তু আমাদের দেশীয় শত্রুরা কি পরাজিত হয়েছে? তারা তখন মন বদল না করে ভোল বদল করেছিল। আর অপেক্ষায় ছিল সুদিনের বা দিনবদলের। তারা তাদের অনুকূলে দিন বদলাতে পেরেছে। আমরা বিজয় ধরে রাখতে পারিনি।
একাত্তরের ডিসেম্বরে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে ভেবে আমরা উল্লসিত হয়েছিলাম। দেশ যে সত্যিকার অর্থে শত্রুমুক্ত হয়নি, তা আমরা এত বছর পরে এসে কি বুঝতে পারছি?
শত্রুর সঙ্গে কৌশলে বসবাসের বিপদ যদি আমরা এখনো বুঝতে না পারি, তাহলে বিজয় উদ্যাপন অর্থহীন হয়ে পড়বে।
লেখক: বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশের মানুষের কাছে কয়েকটি মাস বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়। যেমন ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস, মার্চ স্বাধীনতার মাস, আগস্ট শোকের মাস, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এই মাসগুলো এলে আমরা অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। কোন মাসে কী অর্জন করেছি, কোন মাসে কী হারিয়েছি, তা নিয়ে আলোচনা হয়, স্মৃতিচারণা হয়, শপথও নেওয়া হয়। আমাদের আনন্দ ও বেদনা সবই যেন মাসকেন্দ্রিক, দিবসকেন্দ্রিক।
ডিসেম্বর কেন আমাদের বিজয়ের মাস? কারণ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের অনেক অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের মুক্তিবাহিনী বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিল মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে। মানুষ মুক্তি ও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল।
ডিসেম্বর এলে আমিও স্বাভাবিকভাবেই তারুণ্যদীপ্ত হয়ে উঠি। মনে হয় আমি বুঝি সেই কলেজপড়ুয়া তরুণই আছি। হ্যাঁ, একাত্তরে আমি যখন দিনাজপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখনই শুরু হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তারপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা শুরু করে নৃশংস গণহত্যা। নিরস্ত্র বাঙালি রুখে দাঁড়ায়, ‘যার যা আছে’ তা নিয়ে শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ। প্রতিবেশী ভারত তখন উদারভাবে আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ভারতে আশ্রয় নিয়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা যুদ্ধ করি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যুদ্ধ ৯ মাস স্থায়ী হয়েছিল।
আমার নিজের জেলা (১৯৭১ সালে অবশ্য জেলা ছিল না) পঞ্চগড় মুক্ত হয়েছিল ৩০ নভেম্বর এবং আমার আবাসস্থল বোদা থানা হানাদারমুক্ত হয়েছিল ১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে আমি শরণার্থীজীবনের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পতিরাম থেকে ২ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি বোদার উদ্দেশে রওনা দিই। সারা দিন সড়কপথে নানা মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে বিকেল হয়ে যায়। যখন মানিকগঞ্জ সীমান্ত অতিক্রম করলাম, তখন সন্ধ্যা হয় হয়। পথঘাট চিনি না। তবে ৯ মাসের উদ্বাস্তু জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাড়ি ফেরার তীব্র টানে হাঁটতে শুরু করলাম। শীতের সময়। সঙ্গে শীতবস্ত্র ছিল না। তবে হাঁটার কারণে তেমন ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল না। কয় ঘণ্টা হেঁটেছি, বলতে পারব না। একসময় ক্লান্তিতে শরীর অবশ হয়ে আসছিল। আর চলতে পারছিলাম না। দীর্ঘ পথে আমি একা পথিক। অবসন্ন শরীর যখন নেতিয়ে পড়ছিল, তখন অপরিচিত এক ব্যক্তি আমাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান।
শীতের রাতে ওই ভদ্রলোকের বাড়িতে যে আতিথেয়তা পেয়েছিলাম, তা সারা জীবন মনে থাকবে। আর মনে থাকবে সেই রাতের তাঁর একটি কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘বাবু, আপনারা তো “হিন্দুস্থানে” গিয়ে আরামে ছিলেন। এখানে আমাদের কত বিপদ। একদিকে পাকিস্তানি মিলিটারির ভয়, অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর ভয়।’
কথাগুলো তখনই আমার কানে বেজেছিল। আমরা যারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম তারা ‘আরামে’ ছিলাম বলে অবরুদ্ধ দেশের ভেতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের ধারণা হয়েছিল। কিন্তু শরণার্থীর জীবন যে আরামের ছিল না, সেটা কি আর কোনো দিন তাঁরা বুঝতে পেরেছেন? তাঁদের কি আর সেটা বোঝানো হয়েছিল? আবার অবরুদ্ধ দেশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই কি নিরাপদ ছিলেন অথবা সবাই কি ছিলেন পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী বা দোসর?
আমি বোদা বাজারে আসি ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে। আমিই ভারত থেকে বোদায় ফেরা প্রথম ‘শরণার্থী’। বাড়ি ফিরে আমার দুই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। বাড়ি কোথায়? এ তো মনে হচ্ছে চাষের জমি! ঘরদুয়ারের চিহ্ন নেই। টিনের ঘর ছিল আমাদের। অনেকগুলো ঘর ছিল। সবকিছু লুট করে খালি ভিটা ফেলে রেখেছিল। ঘরের চিহ্নও ছিল না।
দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে, আবার দেশে ফিরতে পেরেছি, সেই আনন্দের চেয়ে অন্য কষ্টের বিষয়গুলো আমার কাছে তখন তুচ্ছ ছিল, এখনো আছে। মানুষের পক্ষবদল, রূপবদল আমি কাছ থেকে দেখেছি। কিছু মানুষের বিদ্বিষ্ট মনোভাবের পাশাপাশি অনেকের উদারতাও দেখেছি।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য উচ্ছ্বাস-উল্লাসের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ভাঙার নীরব মনোবেদনাও কারও কারও মধ্যে তখন লক্ষ করেছি; যা ধীরে ধীরে না কমে বরং বেড়েছে। এই যে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আজ পশ্চাৎযাত্রা, তার কিছু আলামত কিন্তু যুদ্ধ জয়ের মুহূর্তেও লক্ষ করেছি।
নানা ছোটখাটো ঘটনায় তখনই আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, আমরা বাইরের শত্রু পরাজিত করেছি, কিন্তু আমাদের দেশীয় শত্রুরা কি পরাজিত হয়েছে? তারা তখন মন বদল না করে ভোল বদল করেছিল। আর অপেক্ষায় ছিল সুদিনের বা দিনবদলের। তারা তাদের অনুকূলে দিন বদলাতে পেরেছে। আমরা বিজয় ধরে রাখতে পারিনি।
একাত্তরের ডিসেম্বরে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে ভেবে আমরা উল্লসিত হয়েছিলাম। দেশ যে সত্যিকার অর্থে শত্রুমুক্ত হয়নি, তা আমরা এত বছর পরে এসে কি বুঝতে পারছি?
শত্রুর সঙ্গে কৌশলে বসবাসের বিপদ যদি আমরা এখনো বুঝতে না পারি, তাহলে বিজয় উদ্যাপন অর্থহীন হয়ে পড়বে।
লেখক: বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪