অরুণ কর্মকার
বিএনপির এক দফার আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নির্বাচন অভিমুখী হয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এই এক দফার আন্দোলন গত জুলাই মাসে শুরু করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে মাস দুয়েক যেতে না যেতেই এই আন্দোলনে একদিকে যেমন কর্মসূচির খরা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা অতীতে নির্বাচন করেছেন এবং নির্বাচিত হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। ধারণা করা যায়, তাঁরা দলের কোনো সংকেত পেয়ে থাকবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কয়েক দিন আগে বলেছেন, এবার আর আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া হবে না। স্পষ্টতই এ কথার অর্থ বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগকে তো আর আন্দোলনের মাঠে ওয়াকওভার দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। কেননা আওয়ামী লীগ তো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্যই বদ্ধপরিকর। কাজেই বিএনপি মহাসচিবের ওয়াকওভার দেওয়ার কথাটি নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণকেই প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
অবশ্য রাজনীতিকদের অনেক কথাই দ্ব্যর্থবোধক হয়ে থাকে। কাজেই ওয়াকওভার না দেওয়ার বিষয়টির ব্যাখ্যা অন্যভাবেও করা হতে পারে। যেমন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী, অর্থাৎ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যতই পাঁয়তারা করুক না কেন আন্দোলন করে তা ঠেকানো হবে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এটাই হলো ওয়াকওভার না দেওয়া। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করতে না দেওয়া, অর্থাৎ প্রতিহত করার কথাও বলা হয়েছে।
ওয়াকওভারের এসব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জটিলতা থেকে মুক্তি এবং বিএনপির প্রকৃত অবস্থান বোঝার জন্য মাঠপর্যায়ে দলটির অনেক নেতার নির্বাচনী প্রস্তুতি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে কিছু কথা এ ক্ষেত্রেও থেকে যায়। যেমন এক দফার আন্দোলনে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে তার অধীনে তো নির্বাচন করতেই হবে। সে জন্যও তো এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা দরকার। তবে এসব কথার শেষ কথা হলো, এক দফার আন্দোলন সরকারের জন্য এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করা যায়।
গত জুলাই মাসের ১২ তারিখে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং সেই দাবিতে বিএনপি এবং তার মিত্রদের যুগপৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হয়। তারপর জুলাই মাসেরই ২৮ তারিখে ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ এবং ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির পর আর কোনো বড় কর্মসূচি এখন পর্যন্ত তারা গ্রহণ ও পালন করতে পারেনি। আগস্টের শেষ নাগাদ কালো পতাকা মিছিল নামে একটি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে তা জনমনে এমন কোনো দাগ কাটতে পারেনি, যাতে বিশ্বাস করা যায় যে বিএনপি এবং তার মিত্রদের পক্ষে আন্দোলনের মাধ্যমে এক দফা আদায় করা সম্ভব হবে।
এক দফার আন্দোলন অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিএনপি ও তার মিত্রদের হাতে চলতি সেপ্টেম্বরের আর তিন সপ্তাহ এবং অক্টোবর মাসটা সময় আছে। শোনা যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে এক দফা মানতে বাধ্য করা হবে। কী সেই লাগাতার কর্মসূচি তা অবশ্য এখন পর্যন্ত আলাপ-আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। বাস্তবে যা দেখা যাচ্ছে তা হলো, ৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার গণমিছিলের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকার মহানগরীর পূর্ব প্রান্তে দুটি পৃথক স্থান থেকে শুরু হবে এই মিছিল।
একটি কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে, অন্যটি রামপুরা বাজার থেকে। দুই জায়গা থেকে শুরু হয়ে মিছিল দুটি মিলবে একই জায়গায়, নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। ভিন্ন নামে সেই গতানুগতিক কর্মসূচি।
তারপরও দেখার বিষয় হলো, এই গণমিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়া কোনো গণ-অংশগ্রহণ হয় কি না। যদি দেখা যায় জনগণ বাজার-দোকান বন্ধ করে, অফিস-কাচারি ফেলে রেখে বিএনপি এবং তার মিত্রদের মিছিলে দলে দলে যোগ দিচ্ছে, যত পথ যাচ্ছে সেই মিছিল, তার লেজ ততই বড় হচ্ছে তাহলেই তা গণ-অংশগ্রহণ এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্পষ্ট লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে। এক দফার আন্দোলনের সাফল্য সম্পর্কে তখনই মানুষ আশাবাদী হবে এবং তা আন্দোলনে আরও বাড়তি শক্তি জোগাবে।
আসলে বিএনপি এবং তার মিত্ররা যে এক দফার ঘোষণা দিয়েছে তার লক্ষ্যই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এ কথা সবাই স্বীকার করবে যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটি এমনই এক দাবি, যা গণ-অভ্যুত্থান ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে আদায় হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন একটি অভ্যুত্থান সৃষ্টি করার ধারে-কাছেও নেই এক দফার আন্দোলন। ওদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। নভেম্বরের শুরুতেই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরই তো সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। কাজেই সময় রয়েছে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত। এই দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের মতো একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা দুরূহই বটে। অন্তত এক দফার আন্দোলন সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি।
আর যদি বিষয়টি এমন হয় যে আন্দোলন চলবে আন্দোলনের মতো, সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে অন্য কোনো শক্তি বা চাপ (শুরুতে এমন একটি ধারণা অনেকের মধ্যেই বদ্ধমূল হয়েছিল এবং তেমন কিছু চাপ আন্দোলনকে প্রাণিতও করেছিল), সে ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ আলাদা। তবে সেই হিসাব-নিকাশেও সরকার আগের চাপ সামলে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। সরকার নিজের অবস্থান অনেকটাই সংহত করে নিতে সক্ষম হয়েছে। দেশি-বিদেশিনির্বিশেষে অগণতান্ত্রিক কোনো চাপের কাছে এখন আর সরকার মাথা নোয়াবে বলে মনে হয় না। আর সেই চাপ প্রকৃতপক্ষে কতটা আসবে তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সুতরাং এক দফা আদায়ের জন্য একমাত্র গণতান্ত্রিক ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পন্থা হলো গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করা। এক দফা আদায় করতে হলে আন্দোলনকারীদের সেই পথেই হাঁটতে হবে। অন্য সব বিকল্পের কথা ভুলে গিয়ে মনে রাখতে হবে, সে পথের কোনো বিকল্প নেই।
অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
বিএনপির এক দফার আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নির্বাচন অভিমুখী হয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এই এক দফার আন্দোলন গত জুলাই মাসে শুরু করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে মাস দুয়েক যেতে না যেতেই এই আন্দোলনে একদিকে যেমন কর্মসূচির খরা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা অতীতে নির্বাচন করেছেন এবং নির্বাচিত হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। ধারণা করা যায়, তাঁরা দলের কোনো সংকেত পেয়ে থাকবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কয়েক দিন আগে বলেছেন, এবার আর আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া হবে না। স্পষ্টতই এ কথার অর্থ বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগকে তো আর আন্দোলনের মাঠে ওয়াকওভার দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। কেননা আওয়ামী লীগ তো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্যই বদ্ধপরিকর। কাজেই বিএনপি মহাসচিবের ওয়াকওভার দেওয়ার কথাটি নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণকেই প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
অবশ্য রাজনীতিকদের অনেক কথাই দ্ব্যর্থবোধক হয়ে থাকে। কাজেই ওয়াকওভার না দেওয়ার বিষয়টির ব্যাখ্যা অন্যভাবেও করা হতে পারে। যেমন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী, অর্থাৎ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যতই পাঁয়তারা করুক না কেন আন্দোলন করে তা ঠেকানো হবে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এটাই হলো ওয়াকওভার না দেওয়া। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করতে না দেওয়া, অর্থাৎ প্রতিহত করার কথাও বলা হয়েছে।
ওয়াকওভারের এসব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জটিলতা থেকে মুক্তি এবং বিএনপির প্রকৃত অবস্থান বোঝার জন্য মাঠপর্যায়ে দলটির অনেক নেতার নির্বাচনী প্রস্তুতি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে কিছু কথা এ ক্ষেত্রেও থেকে যায়। যেমন এক দফার আন্দোলনে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে তার অধীনে তো নির্বাচন করতেই হবে। সে জন্যও তো এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা দরকার। তবে এসব কথার শেষ কথা হলো, এক দফার আন্দোলন সরকারের জন্য এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করা যায়।
গত জুলাই মাসের ১২ তারিখে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং সেই দাবিতে বিএনপি এবং তার মিত্রদের যুগপৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হয়। তারপর জুলাই মাসেরই ২৮ তারিখে ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ এবং ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির পর আর কোনো বড় কর্মসূচি এখন পর্যন্ত তারা গ্রহণ ও পালন করতে পারেনি। আগস্টের শেষ নাগাদ কালো পতাকা মিছিল নামে একটি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে তা জনমনে এমন কোনো দাগ কাটতে পারেনি, যাতে বিশ্বাস করা যায় যে বিএনপি এবং তার মিত্রদের পক্ষে আন্দোলনের মাধ্যমে এক দফা আদায় করা সম্ভব হবে।
এক দফার আন্দোলন অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিএনপি ও তার মিত্রদের হাতে চলতি সেপ্টেম্বরের আর তিন সপ্তাহ এবং অক্টোবর মাসটা সময় আছে। শোনা যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে এক দফা মানতে বাধ্য করা হবে। কী সেই লাগাতার কর্মসূচি তা অবশ্য এখন পর্যন্ত আলাপ-আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। বাস্তবে যা দেখা যাচ্ছে তা হলো, ৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার গণমিছিলের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকার মহানগরীর পূর্ব প্রান্তে দুটি পৃথক স্থান থেকে শুরু হবে এই মিছিল।
একটি কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে, অন্যটি রামপুরা বাজার থেকে। দুই জায়গা থেকে শুরু হয়ে মিছিল দুটি মিলবে একই জায়গায়, নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। ভিন্ন নামে সেই গতানুগতিক কর্মসূচি।
তারপরও দেখার বিষয় হলো, এই গণমিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়া কোনো গণ-অংশগ্রহণ হয় কি না। যদি দেখা যায় জনগণ বাজার-দোকান বন্ধ করে, অফিস-কাচারি ফেলে রেখে বিএনপি এবং তার মিত্রদের মিছিলে দলে দলে যোগ দিচ্ছে, যত পথ যাচ্ছে সেই মিছিল, তার লেজ ততই বড় হচ্ছে তাহলেই তা গণ-অংশগ্রহণ এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্পষ্ট লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে। এক দফার আন্দোলনের সাফল্য সম্পর্কে তখনই মানুষ আশাবাদী হবে এবং তা আন্দোলনে আরও বাড়তি শক্তি জোগাবে।
আসলে বিএনপি এবং তার মিত্ররা যে এক দফার ঘোষণা দিয়েছে তার লক্ষ্যই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এ কথা সবাই স্বীকার করবে যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটি এমনই এক দাবি, যা গণ-অভ্যুত্থান ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে আদায় হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন একটি অভ্যুত্থান সৃষ্টি করার ধারে-কাছেও নেই এক দফার আন্দোলন। ওদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। নভেম্বরের শুরুতেই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরই তো সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। কাজেই সময় রয়েছে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত। এই দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের মতো একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা দুরূহই বটে। অন্তত এক দফার আন্দোলন সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি।
আর যদি বিষয়টি এমন হয় যে আন্দোলন চলবে আন্দোলনের মতো, সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে অন্য কোনো শক্তি বা চাপ (শুরুতে এমন একটি ধারণা অনেকের মধ্যেই বদ্ধমূল হয়েছিল এবং তেমন কিছু চাপ আন্দোলনকে প্রাণিতও করেছিল), সে ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ আলাদা। তবে সেই হিসাব-নিকাশেও সরকার আগের চাপ সামলে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। সরকার নিজের অবস্থান অনেকটাই সংহত করে নিতে সক্ষম হয়েছে। দেশি-বিদেশিনির্বিশেষে অগণতান্ত্রিক কোনো চাপের কাছে এখন আর সরকার মাথা নোয়াবে বলে মনে হয় না। আর সেই চাপ প্রকৃতপক্ষে কতটা আসবে তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সুতরাং এক দফা আদায়ের জন্য একমাত্র গণতান্ত্রিক ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পন্থা হলো গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি করা। এক দফা আদায় করতে হলে আন্দোলনকারীদের সেই পথেই হাঁটতে হবে। অন্য সব বিকল্পের কথা ভুলে গিয়ে মনে রাখতে হবে, সে পথের কোনো বিকল্প নেই।
অরুণ কর্মকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪