হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

ম্যালরিই কি প্রথম এভারেস্ট জয়ী, ১০০ বছর পর বেরিয়ে এল নতুন তথ্য

ইশতিয়াক হাসান

আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ০০: ৪৫

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।

ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।

তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।

অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।

এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।

তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।

চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়। 

হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।

‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।

এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
 
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।

‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’

ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।

পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।

‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।

হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।

শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।

১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে। 

চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।

অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি। 

মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে। 

এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে  ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন। 

তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল। 

ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি। 

অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে। 

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে। 

১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে। 

১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।

তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭। 

হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।

গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।

যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।

অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।

স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’

হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।

‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’

‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।

তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।

সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

হাসিনা সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ঝুঁকি নিয়ে টিউলিপের অসচেতন থাকাটা দুঃখজনক: নীতি উপদেষ্টা

টিউলিপ সিদ্দিক ইস্যুতে স্টারমারকে ‘দুর্বল নেতা’ বললেন কেমি বাডেনক

টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হলেন এমা রেনল্ডস

টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

সেকশন