নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আরও ৮ আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেন পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামিদের রিমান্ড দেন।
আসামিরা হলেন—সুমন দাস, সুজন চন্দ্র দাস, ইমন চক্রবর্তী, রূপন দাশ, সৌরভ দাশ, সাকিবুল আলম, আহমদ হোসেন ও মো. রাকিব।
চট্টগ্রাম আদালতে প্রসিকিউশন শাখার পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ বাদী হয়ে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার ৮ আসামিকে গতকাল সোমবার আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে আসামিদের পাঁচ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে ওই সহিংসতার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এসব মামলায় গত ২ ও ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পৃথক আদালত এর আগে ২০ জন আসামিকে সাত ও ছয় দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
এ ছাড়া গত ৬ ডিসেম্বর আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি চন্দনসহ দুজনকে সাত ও পাঁচ দিনের করে রিমান্ড দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে চন্দন গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) আলিফ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে।