সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের একটি রিসোর্টে ‘অসামাজিক কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সময় ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে আটজনকে জোর করে কাজি ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই মুরব্বিদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে ফিরে এসেছেন।
গতকাল রোববার দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে। রিসোর্টে উত্তেজিত জনতা আগুন দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আটক তরুণ-তরুণীরা সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, এখানে শুরু থেকেই ‘অসামাজিক কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকটি বিশ্রামের কক্ষ রয়েছে এখানে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড করেন। এ সুযোগে পার্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াছিন আহমেদ ফাহিম বলেন, গতকাল সকালে রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে আগত ১০টি যুগলকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে আটক করা হয়। পরে তাঁদের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। যাদের পরিবার দায়িত্ব নিয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। চারটি যুগলের দায়িত্ব পরিবার না নেওয়ায় তাঁদের কাজি ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়।
৫ নম্বর সিলাম ইউনিয়নের কাজি মো. আব্দুল বারী বলেন, ‘সবার সম্মতিতে আমি চারটি বিয়ে পড়িয়েছি। ছেলে-মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের সম্মতি ছিল। তিনটি বিয়ে হয়েছে ১০ লাখ টাকা, আর ১টি ১২ লাখ টাকা কাবিনে।’
সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে এলাকার মুরব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়েছে এবং তারা দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা চলে আসি। তারা বলছে অভিভাবকেরা আসলে তাদের কাছে হস্তান্তর করবে। এরপরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে তাঁরা জানাবেন বলেছেন।’