মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে জয়ন্তী আইডিয়াল ল্যাবরেটরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী চরম বিপাকে পড়েছে। বিদ্যালয়টি শিগগিরই খোলার সম্ভাবনা না থাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২৩ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের উত্তেজনায় বিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারছে না।
স্থানীয় অভিভাবকেরা দ্রুত বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। প্রশাসনের উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করা উচিত।
পূর্ব নাজিরপুর গ্রামের জালাল আহমেদ জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিপথে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যালয় চূড়ান্তভাবে বন্ধ হলে তাদের দূরবর্তী বিদ্যালয়ে যেতে হবে, যা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বন্দ্বের সমাধান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয়।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত নয়। প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে বিরোধ নিরসনের পর প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় খোলার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রশাসন সরাসরি পদক্ষেপ নিতে পারছে না। স্থানীয় অভিভাবকদের বিরোধ মেটাতে বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি জয়ন্তী আইডিয়াল ল্যাবরেটরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চাবি জমা দেন প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত নয়। শুরু থেকে এর যাবতীয় খরচ বহন করছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আইন উপকমিটির সদস্য আবু হানিফ। তাঁকে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এলাকার সবাই জানেন। এখন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. কুতুব উদ্দীন নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে বিদ্যালয়ে হানিফের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পরিপ্রক্ষিতে প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘাতের শঙ্কায় বিদ্যালয়টিতে তালা দেওয়া হয়। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী।