নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকার কাঁচাবাজারের পাশে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ফিনিক্স ভবনে সেফটি প্ল্যান ছিল না। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ভবন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
আজ শুক্রবার আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আগুন ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল। প্লাস্টিক, লেদারস দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল ভবনটিতে। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, ভবনটিতে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। তা ছাড়া পানির সংকট, ভেতরে দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।
এদিকে ফিনিক্স নামের আটতলা ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় গ্যাসের চুলা থেকে। পাঁচতলায় পুরোটা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল জুতা, চামড়ার পণ্য ও কাঁচামাল। ফলে মুহূর্তে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার পর ভবন থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের সঙ্গে এসব কথা বলেন সেখানকার কর্মীরা। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে এই ভবনটিতে আগুন লাগে। পরে ৪টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মালেক শিকদার নামে ওই ভবনের এক ব্যবসায়ী বলেন, দুপুরে নামাজ পড়ে এসে তিনি আগুনের খবর পান। দৌড়ে এসে দেখেন পাঁচতলায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সেখানে এক কক্ষে তাঁর ১৫ লাখ টাকার চামড়া ছিল।
মালেক শিকদার অভিযোগ, এক ভবনে ১০০ ব্যবসায়ী কাজ করায় এ ঘটনাগুলো বারবার ঘটে। এর আগেও চারতলায় আগুন লেগেছিল।