হোম > সারা দেশ > খুলনা

৯ কোটির প্রকল্প, নেই সুফল

কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

ছাগলদাহ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় ভবন

জমিসংক্রান্ত সেবা উন্নত করতে খুলনার ৭ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৯ কোটি টাকা প্রাক্কলনে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও কোনোটি দুই বছর ধরে, আবার কোনোটি তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। একটি ভবনেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু হয়নি। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মানুষ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবলসংকট এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ না পাওয়ায় ভূমি কার্যালয়গুলোতে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়গুলো নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয় প্রায় ৯ কোটি টাকা। তিন বছরের মধ্যেই ভবন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এক বছর ধরে ভবনগুলো পড়ে রয়েছে। ১৪টি ভবনের একটিতেও এখন পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু হয়নি।

খুলনা জেলা প্রশাসন ও এলজিইডি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জমির নামজারি বা মিউটেশনের প্রস্তাব পাঠানো, খাজনা আদায়, সরকারি ভূমির তত্ত্বাবধায়ন, ভূমিসংক্রান্ত তদন্ত, তহশিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্ট্রারের ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানে সারা দেশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মিত হয়।

নির্মিত ভবনগুলো হলো কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দাকোপ উপজেলার দাকোপ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও লাউডোব ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও আইচগাতি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, তেরখাদা উপজেলার ছাগলাহদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সাচিয়াদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন।

গুটুদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ আশরাফ আলী বলেন, ‘গুটুদিয়ায় ভূমি অফিসটি বিলের মধ্যে করা হয়েছে। সেখানে যাতায়াতের রাস্তাও করা হয়নি। ভবনের চারপাশ পানিতে ডুবে আছে।’

কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের শেষের দিকে। কিন্তু দুই বছরেও কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে ইউনিয়ন অফিসের সেবা পেতে বাসিন্দাদের ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কয়রা সদরে আসতে হয়। এতে সময় ও অর্থ খরচ বেশি হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগেও পড়তে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষকে।

বটিয়াঘাটা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে অফিস চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জনবল চেয়ে কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছি না।’

রূপসা উপজেলায় শ্রীফলতলা ইউনিয়নের স্থানীয়রা বলেন, ‘ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সেখানে কুকুর-বিড়াল বসবাস করছে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, ভবনগুলোর কোনো অভিভাবক নেই।’

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর অফিসগুলো চালু করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে প্রতিটি অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং জনবল নিয়োগ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে।’

সুন্দরবন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেলসহ আটক ২

৪ দিন আগে বিয়ে করেছেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত লাশের পরিচয় মিলেছে

ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

নরসিংদীতে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় নাশকতার মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি

শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা ফ্লাইটে বোমা মেলেনি

শাহবাগ মোড়ে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নেত্রকোনায় লরি-লেগুনা-মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২

কেয়া গ্রুপের আরও দুই প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

সেকশন