হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে মুক্তিপণ দাবি, ৩ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিত্যক্ত বাসার গ্যারেজে এক শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামলার এজাহারে বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে মামলার তিন আসামি তাঁকে জিম্মি করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানায় এ মামলা করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সহায়তায় বোয়ালিয়া থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ভুক্তভোগী কলেজছাত্রকে উদ্ধার করে। এ সময় তিনজনকে আটকও করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়।

মামলার তিন আসামি হলেন জাহিদুল ইসলাম (২০), তাহাসান হোসেন আকাশ (২১) ও শাহাদাত হোসেন (২৭)। রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে। রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের ছাত্র আকাশের বাড়ি নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায়।

অন্য আসামি জাহিদুল রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া পূর্ব চরপাড়া গ্রামে। অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই তিনজন ৫ আগস্টের পর কয়েকদিন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নগর ভবন পাহারার দায়িত্বে ছিলেন।

মামলার বাদী ফাহিম হোসেন জিম রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার মতিয়াবিল এলাকায়। ৫ আগস্টের আগে তিনি নিজেও আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। তবে তাঁকেই ছাত্রলীগ বলে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনের সামনে থেকে তাঁকে ধরে উপশহরে সাবেক মেয়রের পরিত্যক্ত বাসার গ্যারেজে নিয়ে আটকে রাখা হয়।

জীম সাংবাদিকদের বলেন, ওই তিনজন কয়েকদিন ধরেই তাকে ফোন করছিলেন। বলছিলেন, তিনি নাকি ছাত্রলীগ করেন। বৃহস্পতিবার নগর ভবনের সামনে থেকে তাকে পরিত্যক্ত বাসাটিতে নেওয়া হয়। এরপর তাকে মারধর করা হয় এবং মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে তিনি তার এক বন্ধুকে খবর দেন। ওই বন্ধু লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

জীমকে উদ্ধারে গিয়েছিলেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান কাফি। তিনি বলেন, ‘আমরা গেলে ওই তিনজন নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দেয়। কিন্তু তারা সমন্বয়ক নয়। একপর্যায়ে তারা বলে, তারা রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী তাহাস নূরের লোক। তাহাস ৫ আগস্টের পর কয়েকদিন নগর ভবন পাহারায় ছিলেন।’

যোগাযোগ করা হলে তাহাস নূর বলেন, ‘আমি নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি। ওই তিনজন আন্দোলনের সময় আমার সাথে ছিল। আমরা একসঙ্গে নগর ভবন পাহারা দিয়েছি। তারা আমাকে জানায় যে, তারা একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে ধরেছে। আমি তাকে পুলিশে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। পরে কী হয়েছে সেটা আমি বলতে পারব না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে অপহরণের পর জিম্মি করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী কলেজছাত্র মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা কেউ সমন্বয়ক নন। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মহোৎসব

মাটিতে মিশে যাচ্ছে ১১ গাড়ি, যন্ত্রাংশ চুরি

জাবি ছাত্রদলের সদস্যসচিবের ওপর হামলা চেষ্টা, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

এনসিটিবির সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জুলাই আন্দোলন: হাসপাতালের দরজা খোলেনি নিরাপত্তাকর্মীরা, সিঁড়িতেই ইসমাইলের মৃত্যু

বিয়ের ৮ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

জাবি ছাত্রদলের ৬ নেতা বহিষ্কার, ৩ নেতাকে অব্যাহতি

গাইবান্ধায় দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

সেকশন