হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আশুলিয়ায় পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, একজন ‘গুরুতর’

নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার (ঢাকা) ও ঢামেক প্রতিনিধি 

ঢাকার আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলিতে দুই নারী পোশাকশ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক আহতের খবর পাওয়া গেছে।

ঢামেকে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন মোরশেদা বেগম (৩৫) ও চম্পা খাতুন (২৫)। তাঁদের দুজনের বাড়িই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। এর মধ্যে মোরশেদা জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানার প্রিন্ট অপারেটর আর চম্পা সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।

আহত ব্যক্তিরা জানান, দেড় মাস আগে জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানাটির কর্তৃপক্ষ হঠাৎ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এরপরই বিপাকে পড়েন কয়েক হাজার শ্রমিক। এ জন্য গত তিন দিন যাবৎ ওই কারখানাসহ আশপাশের আরও কয়েকটি কারখানার কর্মচারীরা আন্দোলন করছিলেন। তাঁদের দাবি, গত তিন মাসের বেতন–ভাতা পরিশোধের। তবে কেউ তাতে সাড়া দিচ্ছিলেন না। আজ সকালে যথারীতি আন্দোলনে নামেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর শটগান দিয়ে গুলি চালায়। এতে আহত হন তাঁরা।

আশুলিয়া পুলিশ ও শ্রমিক সূত্র জানায়, জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাঁরা বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার সকালে কারখানাটির সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তাঁরা পার্শ্ববর্তী সিগমা অ্যাপারেলস, ডি-সান, সুসুকা, জি-ম্যাক্স ও শিনশিন পোশাক কারখানায় গিয়ে শ্রমিকদের বের করে নিয়ে তাঁদের আন্দোলনে শামিল করেন।

এরপর ওই সব কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। এতে শ্রমিকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় আহত চার নারী শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক (অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার) এইচ এম আসাফ উদ্দৌলা রিজভী বলেন, ‘আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে চম্পা খাতুন, ববিতা আক্তার, হালিমা খাতুন ও মোরশেদা বেগম নামের চার নারী শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁদের মধ্যে চম্পার তলপেটে এবং মোরশেদার পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় চম্পা ও মোরশেদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ববিতা ও হালিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।’

শিল্প পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, বকেয়া বেতন–ভাতার দাবিতে কয়েক দিন ধরে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের শ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছেন। আজ সকালে কারখানাটির শ্রমিকেরা অন্য কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ওই সব কারখানার শ্রমিকদের বের করে আনছিলেন। এ সময় শ্রমিকদের ভয় দেখাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।

তিনি আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

তবে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, আহত গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এঁদের মধ্যে চম্পার অবস্থা গুরুতর।

প্রসঙ্গত, জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা গত সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল মোড় এলাকা অবরোধ করে রাখেন। পরে জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন তাঁরা।

‘দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা’

কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী ‘লাইফ সাপোর্টে’

মানিকগঞ্জে নদীর তীরে পার্বণ নবান্ন উৎসব

পঞ্চগড়ে আবারও তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির ঘরে

জাবির মেয়েদের হল থেকে বহিরাগত যুবক আটক

নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালে দেদার পোনা নিধন

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

বাক্সবন্দী লাখ লাখ টাকার যন্ত্র

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সেকশন