কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে র্যাব ও পুলিশের সোর্স কওসার আলী ওরফে কটা কওসারকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে উপজেলার এলাঙ্গী–চাঁদপাড়া মাঠের ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
কওসার আলীর কোটচাঁদপুরের চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে র্যাব ও পুলিশ সোর্সের কাজ করেছেন। তিনি জামায়াত নেতা এনামুল মাস্টার হত্যা মামলার আসামি। কওসার গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কওসার হত্যার শিকার হওয়ার তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর।
নিহত কওসারের মা জাহানারা বেগম বলেন, গতকাল গভীর রাত রাতে ১৫-২০ জনের মুখোশধারী দল কওসারের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর তাঁকে পুলিশ পরিচয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশের এলাঙ্গী-চাঁদপাড়া মাঠসংলগ্ন রেলগেটে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। ওই রাতেই তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কওসারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি কবির হোসেন বলেন, গতকাল গভীর রাতে খবর আসে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী-চাঁদপাড়া মাঠসংলগ্ন রেললাইনের পাশে কওসারকে হত্যা করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি। পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি কবির হোসেন আরও বলেন, ২০১৪ সালে জামায়াত নেতা এনামুল মাস্টার বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন। তিনি ওই হত্যার ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি। এনামুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ৫ আগস্টের পর কোটচাঁদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।