সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবদল নেতা নিহতের মামলায় চরজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই আরাফাত হোসেন (২৩) বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মিরসরাই পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান (৩৭), মো. নাজমুস সাকিব মারুফ (২২), মো. শাহ আলম (৪৭) ও মো. আরমান (২৬)।
ওসি আতিকুর রহমান বলেন, আজ দুপুরে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাতে মিরসরাইয়ে বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নিহত হন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।
এদিকে সংঘর্ষের পর আজ সকাল থেকে বাণিজ্য মেলা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে মেলায় বসানো অধিকাংশ দোকানপাট। যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।