নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমম্বয়কেরা বলেছেন, ২৪–এর গণঅভুত্থানে ৫ আগস্টের আগে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন ছিল না। সফল অভ্যুত্থান শেষে যখন রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের প্রশ্ন এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি হয়েছে। বিভাজিত হলে নতুন স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে।
আজ সোমবার কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের একটি দল বরিশালের বিভিন্ন সভায় এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী সফরে সকালে তাঁরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিকেলে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমম্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া গণআন্দোলনে নিহত–আহত পরিবারের বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং সমবেদনা জানান।
সমন্বয়কেরা বলেন, এর আগে একাত্তর ও নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও একই ঘটনা ঘটেছে। অভ্যুত্থানের পর আমরা বিভাজিত হয়ে যাই। এবার আন্দোলনের সঙ্গে সবাইকে একযোগে জনসাধারণের কল্যাণে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করতে হবে। যদি বিভাজিত হই, আমাদের নতুন স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে।
তাঁরা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শুধু শেখ হাসিনাই ছিলেন না; বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও জায়গায় ফ্যাসিস্ট বিরাজমান ছিল। এগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। আমরা শুধু স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব এখনই শেষ হয়ে যায়নি। রাষ্ট্র একক ব্যক্তির হবে না, সবার হবে, সেভাবেই সংস্কার করতে হবে।
সভায় বক্তব্য দেন–কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ঢাবির আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এমএ সৈয়দ রাইয়ান ফেরদৌস, বদরুন্নেছা কলেজের সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিবুল হোসাইন শান্ত, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মোবাশ্বেরা করিম মিমি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৌহিদ আহমেদ আশিক, ঢাকা কলেজের জিহাদ হোসেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।