পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পরে হাফেজ মো. ইজাজুল ইসলামের (২০) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে লোহালিয়া নদীর ভাঙ্গলী এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে দুই বন্ধু ইজাজুল ইসলাম ও ইব্রাহিম খলিল বাপ্পী পটুয়াখালীতে যান। সেখানে তাঁদের বন্ধু এনামুল হক মাসুদের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের দাওয়াত খেতে যান তাঁরা। ওই দিন দুপুরের দিকে তিন বন্ধুসহ অন্যরা গোসল করতে যান নিকটস্থ লোহালিয়া নদীতে। একপর্যায়ে তিন বন্ধু সাঁতার কাটতে গেলে ইজাজুল পানিতে ডুবে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। দুই বন্ধু বাপ্পী ও মাসুদ সাঁতরে তীরে উঠে এলেও তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এঁদের মধ্যে মাসুদ (২০) ও বাপ্পীকে (২০) অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খবর পেয়ে পটুয়াখালী সদর নৌ ফায়ার স্টেশনের ডুবুরিরা ও কেস্ট গার্ড গিয়ে ইজাজুলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও সন্ধান পাননি। এরপর আজ সকালে লোহালিয়া নদীর ভাঙ্গলী এলাকা থেকে ইজাজুলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইজাজুল ইসলামের পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরের বন্ধু এনামুল হক মাসুদ ও ঢাকার আরেক বন্ধু ইব্রাহিম খলিল বাপ্পী বলেন, ‘আমরা ঢাকায় থাকি। কেউই তেমন সাঁতার জানি না। আমরা নদীতে কখনো গোসল করিনি। এই প্রথম নদীতে গোসল করতে নামি। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় সাঁতার কাটতে গিয়ে দিক হারিয়ে ফেলি এবং বন্ধু ইজাজুল পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে খুঁজে আর পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।’
আউলিয়াপুর বলইকাঠি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের চৌকিদার কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সদর থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তাঁরা পথেই রয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।