মীর মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
করোনার কারণে দীর্ঘ ১৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও জমজমাট হতে শুরু করেছে ‘ইলিশ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট’। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে নতুন রূপে সেজেছে ইলিশ পার্কটি। পর্যটকদের আগমন বাড়লে করোনার ক্ষতিও দ্রুত কাটিয়ে উঠা যাবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের।
জানা যায়, সাগরকন্যাখ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুই বিঘা জমিতে ‘ইলিশ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট’ তৈরি করেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী রুমান ইমতিয়াজ তূষার। তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর জেলেরা ইলিশ শিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই অঞ্চলে ইলিশ আছে, মানুষ ভালো আছে; ইলিশ নেই, মানুষ ভালো নেই। ইলিশের সঙ্গে আমাদের উপকূলের সরাসরি যে সম্পর্ক রয়েছে তা বিশ্বের কাছে পরিচিত করার জন্য আমি এই ইলিশ পার্ক তৈরি করার উদ্যোগ নেই।’
সোমবার (২৩ আগষ্ট) ইলিশ পার্কে আগত পর্যটক মো. রায়হান আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারনে এতদিন বন্দি জীবন কাটিয়ে এসেছি। সরকার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ায় আমরা সবাই মিলে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ভ্রমণে এসেছি। কুয়াকাটায় এসে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন স্পর্ট ঘুরেছি। এরমধ্যে ইলিশ পার্কটি দৃষ্টিনন্দন লেগেছে।’
ইলিশ পার্কের ম্যানেজার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই পার্কের প্রবেশ ফি ২০ টাকা। আমরা পর্যটকদের যথাযথ সেবা দিয়ে থাকি। ভেতরে আমাদের ইলিশের একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেখানে সামুদ্রিক তাজা মাছ সহ ইলিশের বাহারি খাবার আছে। এখানে পানি ছাড়া কোনো খাদ্যদ্রব্যই ফ্রিজিং করা হয় না।’