নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বিক্ষুব্ধ জনতার মাধ্যমে লুট হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার রাতে বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফল ব্যবসায়ী জামাল খানের বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ৩৪ হাজার মূল্যের একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পলাশপুরের স্থানীয় বাসিন্দা পুতুল ও রাজীব সর্দার জানান, জামাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসায় যাতায়াত ছিল জামালের। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট সাদিক আবদুল্লাহর বাসায় হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আর ওই সময় জামাল একটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাসায় আসেন।
এর দুই দিন পর জামালকে অনেক টাকা গণনা করতে দেখেন তাঁর স্বজনেরা। এরপরই বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারেন। সেই সঙ্গে জামালের আচরণেও পরিবর্তন দেখা দেয়। পরবর্তীকালে জামালের সন্ধান না পেয়ে তাঁর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। যেগুলো সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাউনিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়।
কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত জানান, আইয়ুব আলী নামে একজনের মাধ্যমে টাকাগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এলাকাবাসী উদ্ধার করে থানায় দিয়েছেন। এ সময় লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত জামালের বাবা কাইউম খানও তাঁদের সঙ্গে আসেন। কাইউম খান জানিয়েছেন, তাঁর বাসায় ওই টাকা ছিল। তাঁর ছেলে বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি কত টাকা নিয়ে পালিয়েছে তা তাঁর জানা নেই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।