মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
জরাজীর্ণ ভবন, বিভিন্ন সংযোগে ফাটলসহ পলেস্তারা উঠে গেছে। ভবনের বিমে ফাটল দেখা দেওয়ায় বিভিন্ন স্থানে রড বেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে চলছে ক্লাস। ক্লাস চলাকালীন পলেস্তারা পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় কাঠ-বাঁশ দিয়ে ভবনের বিম ঠেকিয়ে রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বারবার জানালেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের ৭৮ নম্বর তুষখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের ৪ কক্ষবিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। এ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১০৮ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। যে কোনো সময় ওই ভবনটি ভেঙে পড়ার শঙ্কায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
তুষখালি গ্রামের বাসিন্দা সুলতান বেগ বলেন, ‘আমার মেয়ে এই স্কুলে শিশু শ্রেণিতে ও ছেলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। এই স্কুলের অবস্থা খুব খারাপ। যে কোনো সময় স্কুল ধসে পরতে পারে। এ অবস্থায় আমার ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠানো অসম্ভব।’
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আয়শা বেগম বলেন, ‘বিদ্যালয় ভবনের ছাদ, পিলার ও বিম ফেটে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। ক্লাস চলাকালে অনেক সময় পলেস্তারা খসে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মনোযোগী হতে পারে না। আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস চলে।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৭৮ নম্বর তুষখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবন রয়েছে। একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে আপাতত ক্লাস বন্ধ। বাকি ভবনটিতে দুটি ক্লাস রুম আছে। বর্তমানে আমরা ক্লাস চালিয়ে নিতে পারছি কিন্তু যখন পাঁচটি ক্লাস একসঙ্গে চালু করা হবে তখন শ্রেণিকক্ষ সংকুলান হবে না। এরই মধ্যে এলজিইডিকে এই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য বলেছি আশা করি দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
সদর প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিদ্যালয়ে দুটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভবনে তিনটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে আরেকটি ভবনে চারটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশে একটি জরাজীর্ণ টিনশেড ভবন রয়েছে যা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। এটি পাশ হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’