নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেমে বরিশাল নগরীতে চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান রায়হানের চিকিৎসা এখন অর্থসংকটে বন্ধের উপক্রম হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে উন্নত সেবা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কায় দিন কাটছে তাঁর।
চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দরকার হলেও তা জোগান দিতে ব্যর্থ পরিবার।
তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারসহ দেশবাসীর কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন রায়হানের স্ত্রী অপ্রিম আক্তার বাবনী।
৪ আগস্ট নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় ছাত্র-জনতা এবং পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তখন রায়হানের ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে শটগানের গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানান তাঁর স্ত্রী। বর্তমানে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি বাংলাদেশ আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গুলিবিদ্ধ আসাদুজ্জামান রায়হান বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা গ্রামের ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া তিনি বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) বিবিএয়ের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
রায়হানের স্ত্রী দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, তাঁর চোখে একবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন যে অবস্থা তাতে চোখ রক্ষা করতে হলে কম সময়ের মধ্যে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হবে। এ জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া না গেলে চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
রায়হানের বাবা ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেকার হয়ে আছি। এর মধ্যে ছেলের এ দুর্ঘটনা আমার পরিবারকে আরও নিঃস্ব করে দিয়েছে। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। এখন আমার চোখের সামনে ছেলের অসহায়ত্ব দেখতে হচ্ছে।’ এ সময় সরকার ও দেশবাসীর কাছে সহায়তা কামনা করেন তিনিও।