নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্যাতন করে শিশুর কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়ের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমারের বিষয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
রোববার শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে দেখা গেছে ১২ বছর বয়সী ওই শিশুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থানায় নির্যাতন করে তার ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নয়ন কুমারের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এর আগে সিআইডির পরিদর্শক নয়ন কুমারকে সব ধরনের তদন্তকাজ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণ ও অদক্ষতার প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় ওই আদেশ দেওয়া হয়। ওই সময় শুনানিতে নয়ন কুমার সম্পর্কে হাইকোর্ট বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা এখানে বিষয় না, সে অপরাধ করেছে।
জোর করে ১২ বছর বয়সী শিশুর স্বীকারোক্তি নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বগুড়ার আদালতে বিচারাধীন হত্যা মামলার যথার্থতা ও আইনগত বিষয় পর্যালোচনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ২০ জুন হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। এর পর ব্যাখ্যা দিতে সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমারকে তলব করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার কেস ডকেট (সিডি) নিয়ে বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মনসুর আলীকেও আদালতে যুক্ত থাকতে বলা হয়।
নির্দেশমতো মনসুর ও নয়ন আদালতে হাজির হন এবং শিশুর কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। সেই সঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। তবে নয়ন কুমারের লিখিত ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি আদালত। এরপর ওই শিশুর মেডিকেল রিপোর্ট তলব করা হয়। সেখানে দেখা যায়, শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে।