নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ব ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের ওপর হামলা, দেশের ওলামা–মাশায়েখদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মাওলানা সাদ কান্ধলভি সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন জুবায়ের অনুসারী আলেম ওলামারা। এই সময় তাঁরা দেশে একবার ইজতেমা আয়োজনের দাবি জানান।
তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদসহ তাঁর অনুসারীদের নিষিদ্ধের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে জুবায়েরপন্থীরা। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ‘ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে এই দাবি জানান তাঁরা।
তাবলিগ জামাতের ভারতীয় নেতা মাওলানা সাদ ও তাঁর অনুসারীদের নিষিদ্ধের আলটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, সাদ কোনো আলেম নন। তিনি ইহুদিদের ইন্ধনে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতকে বিভক্ত করতে কাজ করছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ‘বৈষম্যের অবসানের জন্য এ দেশের ছাত্ররা যেভাবে জীবন দিয়েছে, আলেম–ওলামারাও এভাবে জীবন দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশে ইজতেমা একটাই হবে। আর এই দেশ আলেমদের দেশ, আলমদের কথায় দেশ চলবে অন্য কারও কথায় নয়।’ এ সময় তিনি সবাইকে একসঙ্গে ইজতেমা করার আহ্বান করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব আব্দুল মালেকসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে সাদপন্থীদের মিথ্যা মামলার তীব্র সমালোচনা করেন। বক্তারা বলেন, তাবলিগ জামাতের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করতেই সাদপন্থীরা কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র কোনো দিন মেনে নেবে না।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাদ ও সাদপন্থীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করার আলটিমেটাম দেন। একই সঙ্গে তাবলিগ জামাত নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের আলেম–ওলামাদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। তাবলিগ জামাতের সঙ্গে সাদপন্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।’
গত বৃহস্পতিবার টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সাদ অনুসারীদের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা। এ সময় মাওলানা সাদের অনুসারীদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। সাদ ও জুবায়ের গ্রুপের সংঘর্ষে সাদ অনুসারী দুই মুসল্লি আহত হন।
সাদপন্থীদের একটি সূত্র জানায়, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করেন কয়েক হাজার মুসল্লি। দ্বিতীয় ধাপে সাদ কান্ধলভির অনুসারী মুরব্বিরা জোড় ইজতেমার অনুমতি চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে জোড় ইজতেমার অনুমতি দেওয়া হয়নি।