হোম > সারা দেশ > ঢাকা

কেরানীগঞ্জে ‘অজ্ঞান পার্টি’র ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে অটোচালকদের অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ‘অজ্ঞান পার্টি’র ১৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাদশা (৩৫), ওলি (৩৪), সুলতান (৫৮), সুমন কারাল (২৭), বিরিয়ানি সুমন (৩৫), শাহিন (২৮), আলামিন ওরফে অনিক (২৮), জামাল (৩০), মনির (২৭), আশরাফ (৪২), গ্যারেজ বাদশা (২৮), জুয়েল (৩৯), বাচ্চু (৫৫), রাজু (৪১) ও সাইদুর (৩৮)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি অটোরিকশা, ১৫ পাতা চেতনানাশক ট্যাবলেট এবং একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পায়, একজন লোক অচেতন অবস্থায় রাজউকের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের মধ্যে পড়ে আছেন। এ খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ের লোকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চার দিন অচেতন থেকে লোকটির জ্ঞান ফিরে এলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁর নাম হাসান। তিনি একজন প্রতিবন্ধী অটোরিকশাচালক। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে জানান, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাঁকে মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর যাবে বলে ভাড়া করে কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসেন এবং চেতনানাশক ওষুধ মেশানো কফি খাইয়ে অজ্ঞান করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

এসপি আসাদুজ্জামান আরও বলেন, পরবর্তী সময় এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে। গত কয়েক দিনে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ১৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটির কাছ থেকে আরও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তাঁরা গত বছরের ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বয়স্ক অটোচালক খোরশেদ আলমকে (৫৭) চেতনানাশক ওষুধ মেশানো শরবত খাওয়ায়। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে শ্রীনগর থেকে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের টোলপ্লাজাসংলগ্ন রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। 

এ ছাড়া গত বছরের ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বৃদ্ধ অটোচালক আলম ব্যাপারীকে (৭০) পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো চা খাইয়ে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। গত বছরের ৯ অক্টোবর অটোচালক আব্দুর রহমানকে (৪২) চেতনানাশক ওষুধ মেশানো কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার জিনজিরার কালাচান মার্কেটের বারান্দায় ফেলে রেখে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি তিনটি ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু ওই তিন অটোচালকই চেতনানাশক ওষুধের কারণে মারা গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ জন সরাসরি অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে জড়িত। বাকি পাঁচজন লুট করা অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অপস আমিনুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজামান, উপপরিদর্শক সাইদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী কমলে ইলিশের দাম কমানো সম্ভব: মৎস্য উপদেষ্টা

জাবিতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল

৩৬০ টন জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৮

বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

শিবচরে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

এস কে সুরের বাসায় দুদকের অভিযান, ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার

বকেয়া বেতন ও চাকরি স্থায়ীর দাবিতে মন্ত্রণালয়ের সামনের রেলওয়ে গেটকিপারদের অবস্থান

প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে পুলিশের কাছে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ১

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইউপিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর

সেকশন