নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবাসনসংকট নিরসনের দাবি নিয়ে আগামী ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ‘ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই’ কর্মসূচি পালন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
এর আগে একই দাবি নিয়ে ৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে ‘প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচি পালন করা হয়। সে সময় ৯ জানুয়ারিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলে অনশন শেষ করেন তাঁরা। এদিকে আজ ‘ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসরাত জাহান ইমু। ইমু বলেন, ‘বিগত ২৯ ডিসেম্বর থেকে চলমান আন্দোলন থেকে আমাদের প্রাপ্তি রয়েছে। তবে ভবন ভাড়া করে ছাত্রীদের জন্য অস্থায়ী আবাসন হিসেবে হোস্টেল চালু করা, গণরুম বিলুপ্ত করা, নতুন হল মূল ক্যাম্পাসেই হবে এরূপ কোনো নিশ্চয়তা না দেওয়া; আর্থিক সাহায্য কয়জনকে, কত টাকা করে এবং কবে থেকে সবাইকে দেওয়া হবে কোনো সংখ্যা না জানানো; শতভাগ আবাসিকীকরণের কোনো সদিচ্ছা ব্যক্ত না করা এবং এক খাটে এক সিট ভিত্তিতে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনার কথা না জানানোর কারণে আমরা নতুন কর্মসূচির দিকে যাচ্ছি।’
ইসরাত জাহান ইমু আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা শিক্ষার্থীদের আবাসনব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলন করছি। বারবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। দাবি উপস্থাপন এবং আলোচনার সব উপায় আমরা অবলম্বন করেছি। এত কিছুর পরেও গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে আমাদের অমীমাংসিত দাবিগুলোর বিষয়ে প্রশাসন তো আন্তরিক না। এমন ঘটনায় আমরা ধরে নিতে পারি প্রশাসন চায় না, আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান হোক। ফলে, ছাত্রীদের আবাস সংকট সমাধানে আন্দোলন ব্যতীত অন্য কোনো পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।’
ইমু বলেন, ‘এমতাবস্থায় আমাদের দাবি না মানা অবধি মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের বাসভবনে নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া অবধি নারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনেই অবস্থান করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির পাঁচটি হলের বিভিন্ন বিভাগের নারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।