নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার প্রতিনিধি
বেতন বাড়ানোর দাবিতে আজ শনিবার আবারও বিক্ষোভ করেছেন ঢাকার আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। বেলা ১১টা পর্যন্ত আশুলিয়ার জামগড়া ও আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েছেন। পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলি ব্যবহার করেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কে নেমে সড়ক অবরোধ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।’ ছররা গুলিতে তিনজন আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
পুলিশের ছররা গুলির আঘাতে আমির হোসেন নামের এক ভ্যানচালকসহ মো. শামিম ও তাঁর খালাতো ভাই মো. তাজউদ্দিন আহত হন। তাঁদের আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশুলিয়ায় জামগড়া এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আজ শনিবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর কিছু সময় পরে বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা বের হয়ে যান। পরে তাঁরা আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের জামগড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। পরে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবারের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কয়েকটি স্থানে পুলিশ ছররা গুলিও ব্যবহার করে।
জামগড়া এলাকার একটি কারখানার শ্রমিক কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সকালে কাজ করছিলাম। আমাদের ফ্যাক্টরিতে কোনো ঝামেলা ছিল না। বাইরের শ্রমিকেরা ঝামেলা করায় কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।’
প্রাইম ক্যাপ বিডি লিমিটেডের নিরাপত্তারক্ষী মো. রায়হান বলেন, ‘আমাদের কারখানায় সকাল থেকেই কাজ চলছিল। সকাল ১০টার দিকে কিছু শ্রমিক কারখানার সামনে এসে চিল্লাচিল্লি শুরু করে শ্রমিকদের বের হতে বলে। কিন্তু কেউ বের হয় নাই। এরপর বাইরের শ্রমিকেরা গেট ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা চলে যায়।’