নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বন্ধ রয়েছে সেখানকার অন্তত ২০টি মার্কেটের বেচাকেনা। এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ দিনে শত কোটি টাকার বেশি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার দোকান আছে। ঈদের আগের এই সময়টাতে প্রতি দিন দোকানগুলোতে গড়ে কম বেশি ১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়। সে হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দিনে শত কোটি টাকা। আর ফুটপাতের দোকানগুলোকেই হিসাব করলে ক্ষতিটা আরও বেশি।’
এই ব্যবসায়ী নেতা জানান, ফুটপাতে প্রায় তিন চার হাজার দোকান রয়েছে। এগুলোতে দিনে বিক্রির পরিমাণ তিনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি ৷ তবে তাঁর ধারণা ফুটপাতের একেকটি দোকানে দিনে অন্তত ৪০-৫০ হাজার টাকার পণ্য ব্যবসা হয়।
আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, সোমবার রাতে ফুটপাতের অনেক দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অনেকেই তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন।
নিউমার্কেট এলাকার একাধিক হকার একই দাবি করেছেন। তাদের দাবি, ফুটপাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় ঈদের আগে পুঁজি খাঁটিয়ে কেনা সবকিছুই হারিয়েছেন তারা।
নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের স্কার্ফ বিক্রেতা নাইমুল হাসান বলেন, ‘আমার সবকিছু শেষ ৷ ঈদের জইন্য যা আনছিলাম কিচ্ছু নাই আর।’
ব্যবসায়ীদের দাবি, সোমবার রাতে নিউমার্কেটের একাধিক দোকানে লুটপাট হয়েছে। চন্দ্রিমায় কয়েকবার আগুন জ্বালানোর চেষ্টা হয় বলে জানিয়েছেন আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকবার চন্দ্রিমায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে ৷ ফুটপাতের দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এগিয়ে এসেছিল বলে রক্ষা। না হলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারত।’
এবারের ঈদে ব্যবসা করে গত দুবছরের করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য বেশির ভাগ ব্যবসায়ী নিজেদের সঞ্চয়সহ ধারদেনা করেও পুঁজি খাঁটিয়ে নতুন পণ্য দোকানে তুলেছেন। সোমবার রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষের ফলে এই এলাকার ঈদের বেচাকেনার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেক ব্যবসায়ী। সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার পরেও ক্রেতারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই এলাকায় আসবেন না বলে আশঙ্কা তাদের।