ঢাবি প্রতিনিধি
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নাহিদের হত্যায় পুলিশ জড়িতদের নাম প্রকাশ করায় দলে দলে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে ঢাকা কলেজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নীরব, নিস্তব্ধ পরিবেশ। আগের মতো কোন হৈ হুল্লোড় নেই। শিক্ষার্থীদের আড্ডা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কলেজে একটি তথ্য ছাড়িয়েছে তা কতটুকু সঠিক জানি না। তা হলো-যেকোনো সময় পুলিশ ঢাকা কলেজের হলগুলোতে অভিযান চালাতে পারে। তাই অনেকেই গতরাতে হল ছেড়ে চলে গেছেন। অনেকেই সকালবেলা গেছেন। গত দুদিনের চাইতে আজকে চলে যাওয়ার হারটা বেশি।’
হাসান আব্দুল্লাহ নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি জানান, চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এবারের ঈদে বাড়িতে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু প্রতিদিন আব্বু-আম্মু ফোন দিচ্ছে চলে যাওয়ার জন্য। তাঁরা খুব চিন্তায় আছেন তাই বাড়িতে চলে যাচ্ছি।
তবে নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোন আতঙ্ক নেই। আগের মতোই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। জমে উঠেছে ঈদ বাজার।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমাদের কাছে যে দাবির কথা বলা হয়েছিল তা সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পূরণ করছি। পর্যায়ক্রমে নিয়ম মেনে আমাদের সব কাজ চলছে।’
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে নাহিদ হত্যায় জড়িতরা হলেন—মোনায়েম, কাওসার, রাব্বী, সাদিক মির্জা, জাকির ও সুজন। এরা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ রয়েছে। তাই তাঁরা ছাত্রলীগকর্মী কিনা অবগত নয় বলে উল্লেখ করে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফুয়াদ হাসান বলেন, অভিযুক্তরা আমাদের ব্লকের না। আমি কাউকে চিনি না। একাধিক গ্রুপ যেহেতু আছে তাই অন্যান্য গ্রুপের হয়ত হতে পারে। তবে আমি স্পষ্ট কিছু জানি না।
ঢাকা কলেজে অভিযান চালানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স. ম কাইয়ুম বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্তের পাশাপাশি অভিযানও চলছে। তবে নির্দিষ্ট করে হলে কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
তবে সার্বিক বিষয় জানার জন্য ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।