ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর উত্তরায় একটি পোশাক কারখানায় সহকর্মীর মারধরে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। মারধরের কারণ জানেন না বলে দাবি অন্য সহকর্মীদের।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ৪ নম্বর সেক্টরের বটতলা এলাকার এস এ ফ্যাশন নামের কারখানায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শ্রমিকের নাম সজীব (১৭)। সে ওই কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করত।
নিহত সজীবের সহকর্মী মো. সবুজ জানান, ‘সকালে সজীব গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম (২০) নামে তাদের এক সহকর্মী সজীবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে সজীব অচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।’
তবে সজীবকে কেন মারধর করা হয়েছে, তা জানেন না বলে দাবি করেছেন সবুজসহ অন্য সহকর্মীরা।
সজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা সোলেমা বেগম। তিনি জানান, সকালে কারখানা থেকে ফোন দিয়ে তাঁকে জানানো হয়, কারা যেন তাঁর ছেলে সজীবকে মারধর করেছে। পরে তিনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
তিনি জানান, তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায়। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণখান মুন্সি মার্কেট এলাকায় থাকতেন। তাঁর স্বামী শাহেদ আলী রিকশাচালক এবং তিনি অন্যের বাসায় কাজ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দক্ষিণখান থানার ৪ নম্বর সেক্টর থেকে এক পোশাকশ্রমিককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বজন ও সহকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছে।