হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সখীপুরে ১৭০৯ শিক্ষার্থী আর স্কুলে আসেনি

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

এক মাসের বেশি সময় ধরে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী এখনো শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসেনি। শিক্ষকগণ জানান, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বাদ দেয়নি, তারা অধিকাংশই প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে কওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছে। কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফিরে আসবে বলে আশাবাদী তাঁরা। 

গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক মাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি-অনুপস্থিতি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী অনেকেই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ২০ হাজার ৫৯৪ জন। বিদ্যালয় খোলার পর এক মাসে ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়েছে। এক মাসে এক দিনও বিদ্যালয়ে আসেনি ১ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, অনুপস্থিত থাকা অধিকাংশ শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। 

উপজেলার চাম্বলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানা জানান, তাঁর বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী এখনো বিদ্যালয়ে আসছে না। সহকারী শিক্ষকেরা ওই সব শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে জানতে পেরেছেন, তারা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। 

সখীপুর আড়াইপাড়া বাজারে অবস্থিত ডাকাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার বলেন, করোনার সময় একজন ছাত্রী ঝরে পড়েছে। বিদ্যালয় খোলার পর পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হয়েছে। 

উপজেলার কালমেঘা রাঙামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম নব্বেস আলী বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে ২৪৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনাকালে বেশ কিছু শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল। বিদ্যালয় খোলার পর ১৫-১৬ জন বাদে সবাই আবার বিদ্যালয়ে ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিনা মূল্যে পোশাক ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা গেলে আরও ৮-১০ জনকে বিদ্যালয়ে ফেরানো সম্ভব হবে। 

উপজেলার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর উপজেলায় মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়েছে। তিন-চার বছর আগে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল ১৫টি বা তারও কম। কিন্তু উপজেলায় বর্তমানে ৬০টি কওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। 

সাখাওয়াত হোসেন নামের এক অভিভাবক আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব চিন্তায় পড়ে যাই। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও স্কুল খোলার কোনো সম্ভাবনা দেখছিলাম না। তাই ছেলেকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি। সেখানে ভালোই পড়াশোনা হচ্ছে। পুনরায় বিদ্যালয়ে ভর্তি করবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে বছরের মাঝখানে নয়, বছরের শুরুতে ভালো কোনো বিদ্যালয় পেলে সেখানেই দেব। 
 
সখীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল ইসলাম বলেন, করোনাকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকায় অনেক অভিভাবক তাঁদের ছেলেমেয়েদের কোরআন শিক্ষার জন্য সাময়িকভাবে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিল। তবে এখন অনেকেই বিদ্যালয়ে ফিরছে। আশা করছি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরে আসবে। 

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে ৩ কমিটি

টুঙ্গিপাড়ায় ইয়াবাসহ উপজেলা ছাত্রদল নেতা আটক

কিশোরগঞ্জের হাসপাতালে চলছে পানির মোটর বসানোর কাজ

নির্ভুল ভোটার তালিকা করতে সবার সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

মারধরের মামলায় কুড়িগ্রামে আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

যাদের দল করা দরকার তারা করুক: কাদের সিদ্দিকী

বুকে ব্যথা নিয়ে সিসিইউতে লুৎফুজ্জামান বাবর

হত্যা মামলায় আনিসুল, সালমানসহ ৫ জন আবারও রিমান্ডে

এবার ১৪৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল

শাহবাগে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের অবস্থান কর্মসূচি

সেকশন