হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ফের চাঁদাবাজিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০: ৪৫
সানজিদুল হক ইমন

রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে ঢাকার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর দ্বন্দ্ব। মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ইমন ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের অনুসারীরা এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইমন ও হেলাল দুজনেই কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপরই তাঁরা পুরোনো অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন। ১০ জানুয়ারি কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির (ইসিএস) সভাপতি মো. ওয়াহিদুল হাসান দীপু ও ইসিএস মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. এহতেশামের ওপর হামলার ঘটনাও এই দুই সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অংশ।

হামলার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন ইসিএস সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দীপু। তিনি পিচ্চি হেলালের আপন ভাই। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে সানজিদুল হক ইমনকে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নেতৃত্বে আসামিরা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে এসে মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-হয়রানি করা হয়।

চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে দীপু এবং মো. এহতেশামুল হকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী আইনি সহযোগিতা গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও ছাত্র-জনতাসহ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরই জেরে ১০ জানুয়ারি রাতে এহতেশামুল হকের পথরোধ করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন ওয়াহিদুল হাসান দীপু মার্কেটের নিচতলার (গ্রাউন্ড ফ্লোর) দিয়ে গাড়িতে করে বের হচ্ছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

এ বিষয়ে গতকাল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘এক মাস আগে ওই মার্কেটে একটি নির্বাচন হয়। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিরোধ তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। নির্বাচনের কারণে এ হামলার ঘটনা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারণেও হতে পারে। তবে আসামিদের না ধরা পর্যন্ত মূল বিষয়টি এখনই বলতে পারব না। আমরা চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

মাস্ক পরা থাকায় হামলাকারীদের সবাইকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

নাসিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ তিনটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে, সেগুলো হলো ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, নির্বাচনী দ্বন্দ্ব ও আন্ডারওয়ার্ডের চাঁদাবাজি। তবে হামলায় অংশ নিয়েছে ভাড়াটেরা।

গত ২৮ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির (ইসিএস) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির ৯টি পদের মধ্যে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতিসহ তিনজন নির্বাচিত হন। তাঁরা হলেন সভাপতি পদে মো. ওয়াহেদুল হাসান দীপু, সহসভাপতি পদে মো. নজরুল ইসলাম হাজারী ও কোষাধ্যক্ষ পদে নাসিব আহমেদ। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ৬ রেডিওথেরাপি যন্ত্রই নষ্ট

তিন মাসে ঢাকায় ৮১০ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

তিন দফা দাবি: অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনরত জবির ১৪ শিক্ষার্থী

সেকশন