নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ডেলিভ্যারিম্যান নাহিদ হাসান ও দোকান কর্মচারী মোরসালিন হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে এ মামলা দুইটি তদন্ত করবে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট চারটি মামলায় হয়েছে। কোন মামলাতেই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
থানা-পুলিশ বলছে, গত মঙ্গলবার রাতে নাহিদের মৃত্যু পর তাঁর চাচা মো. সাঈদ বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাত নামে ১৫০ থেকে ২০০ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। আবার দোকান কর্মচারী মোহাম্মদ মোরসালিন নিহতের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ভাই নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করেছন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান। পর দিন দিনভর সংঘর্ষ চলে ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের। ঘটনায় এখন পর্যন্ত নাহিদ হোসেন ও মোহাম্মদ মোরসালিন নামে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ঘটনার তদন্তে তাঁদের হাতে ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ চলে এসেছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সার্বিক ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ জল ঘোলা করার জন্য আগুনে ঘি ঢেলেছেন। তাঁদেরই তাঁরা খুঁজছেন।