সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
স্বামীর সঙ্গে রাগ করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন স্ত্রী। তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে উপস্থিত হন স্বামী। যেতে না চাইলে ছুরি বের করে তাকে আঘাত করেন। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের আনন্দপুরে নিহতের খালুর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামী দ্বীন ইসলাম ওরফে বাবুকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি ছুরিও জব্দ করা হয়েছে বলে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ জানান।
নিহত সুলতানা টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার গোকুলহাট এলাকার মোস্তফা মিয়ার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে সাভারের আনারকলি এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্বামী দ্বীন ইসলাম বরগুনা জেলার আমতলী থানার টেপুরা গ্রামের শাজাহান খলিফার ছেলে। পেশায় তিনি অটোচালক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাত দিয়ে উপপরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিন আগে স্বামীর সঙ্গে রাগ করে সুলতানা বেগম তার খালু খোশ মোহাম্মদের বাড়িতে আসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখান থেকে স্ত্রী সুলতানাকে নিয়ে যেতে হাজির হন বাবু। সুলতানা যেতে রাজি না হলে কোমর থেকে ছুরি বের করে তার পেটে মারেন বাবু। সুলতানাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বাবুকে ধোলাই দিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ সোপর্দ করে এলাকাবাসী ।
নিহতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।