হোম > সারা দেশ > খুলনা

যশোরে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহতা ছড়াচ্ছে, রেকর্ড ৩৭০ শনাক্ত

প্রতিনিধি

যশোর: যশোরে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আজ শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬১ শতাংশ।

যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ রনি জানান, শুক্রবার মোট ৬০১টি নমুনার মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৮টি নমুনার ফল পেয়েছেন তাঁরা। যেখানে ৩১৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এ ছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজের ১২টি নমুনার মধ্যে ৩টি, জিন এক্সপার্টের ১১টি নমুনার মধ্যে ৪টি এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেনের ৫০ নমুনার ৫০ টি’ই পজিটিভ আসে। সর্বমোট ৬০১টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ৩৭০টি নমুনাতে। যার মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া অভয়নগরে ৬৩, শার্শায় ৪১, চৌগাছায় ৩৩, ঝিকরগাছায় ২৮, কেশবপুরে ১৮, মনিরামপুরে ১৫ ও বাঘারপাড়ায় ১১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।

ডা. রেহেনেওয়াজ আরও জানান, এর আগে যশোরে গত ১৮ জুন সর্বোচ্চ ২৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এরপর শনাক্তের সংখ্যা আড়াই শ’র ওপরে থাকলেও শুক্রবার তা প্রথমবারের মত ৩ শ’ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১০ হাজার ৭১৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো। তিনি বলেন, ক্রমেই যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জ্যামিতিক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মানুষকে আরও সচেতন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ জানান, যশোরে করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরন ছাড়াও ইউকে, ক্যালিফোর্নিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ধরনটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ধরনটি হলো ভারতীয় ডেলটা। যা অন্যান্য ধরনগুলোর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী। ধরনটি সংস্পর্শে আসা মানুষের মধ্যে সহজেই যেমন সংক্রমিত হয়, তেমনি এর মৃত্যু ঝুঁকির হারও অনেক বেশি। চলতি মাসে আমরা শনাক্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় যশোরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে তারই প্রতিফলন দেখেছি।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, গত মে মাসে যখন ডেলটা ধরনটি শনাক্ত হয়, তখনই আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সাবধান করেছিলাম। যাতে তড়িৎ পদক্ষেপের মাধ্যমে এর সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দেরিতে হলেও প্রশাসন সে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু একে আরও কঠোর থেকে কঠোরতর করতে হবে। কেননা, প্রশাসনের এ পদক্ষেপে এখনো অনেক ফাঁক রয়ে গেছে। বিশেষ করে হাট-বাজার, অলিগলি এখনো তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আসেনি। একই অবস্থা গ্রামাঞ্চলেও। যা সংক্রমণকে আরও গতিশীল করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ পরিস্থিতিতে লকডাউন কর্মসূচিকে আরও কঠোর না করলে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। অথচ এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে স্থানীয়দের মাঝে।

৯ কোটির প্রকল্প, নেই সুফল

খুলনা পাউবোর যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ২৬ লাখ টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেল দুদক

মোংলা বন্দরে নিলামে উঠেছে ৭০টি দামি গাড়ি

টিসিবির পণ্য ক্রয়ের সিরিয়াল নিয়ে যুবদল নেতা মানিক হত্যাকাণ্ড

মেসির বিশাল ছবি এঁকে প্রশংসায় ভাসছেন খুলনার নয়ন মন্ডল

সুন্দরবনে ৩ বাঘের দেখা পেলেন পর্যটকেরা, তুললেন ছবিও

এমএম কলেজে বহিরাগতদের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মীদের সংঘর্ষ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার উন্নতি, ফের কমতে পারে ২৬ জানুয়ারি থেকে

লীগ বলয়ের সন্ত্রাসী রাকিবের বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা

ছাত্রলীগ নেতার ভেবে জামায়াত নেতার মাছ লুট: বিএনপির দুজন বহিষ্কার

সেকশন