যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরে তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যুবদলের নেতা-কর্মীরা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বিকেলে গিয়ে এগুলো বন্ধ দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঈগল পরিবহনের মনিহার টিকিট কাউন্টার এবং ঈগল পরিবহনের স্বত্বাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়ার মালিকানাধীন এম কে মোটরস ও দাউদ খানের খান মোটরস। গত সোমবার সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন এগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
আন্তজেলা বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কাপুড়িয়া বলেন, ‘গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বিপু ও যুবদলের কর্মী একরামুল হোসেন রিপনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন ঈগল পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে কর্মচারীদের দিয়ে জোর করে কাউন্টার বন্ধ করে দেয়। এরপর এম কে মোটরস কার্যালয়ে এসে আমাকে বলে, এখনই দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। বন্ধ না করলে ঝামেলা আছে। তখন আমার কর্মচারী ভয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। আমরা বাড়িতে চলে আসি। এরপর আন্তজেলা বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি দাউদ খানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খান মোটরসে গিয়ে হামলা করে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
জানতে চাইলে যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাইদুর রহমান বিপু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয়। মূলত রিপনের সঙ্গে আইডিবিএস সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অন্যায়-অবিচার করেছে। তাই রিপনসহ কয়েকজন তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, পবিত্র কাপুড়িয়া আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক। গত সোমবার আতিকুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে শহরে আওয়ামী লীগের যে ঝটিকা মিছিল হয়েছে, তার মধ্যে সুমন অধিকারী নামের একজন ছিল। মিছিল করে সে ঈগল পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে বসেছিল।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আমরা দেখছি, বিষয়টি নিয়ে যাতে আইনশৃঙ্খলার আর কোনো অবনতি না হয়। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি, আজকের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’