হোম > সারা দেশ > খুলনা

সংক্রমণ এড়াতে নতুন ঝুঁকি

জিয়াউল হক, যশোর

যশোরে করোনাকালে বেড়েছে প্লাস্টিকের পণ্যর ব্যবহার। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এসব প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার তৈরি করছে অন্য ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাস্টিকের এসব পণ্যে রয়েছে এমন সব রাসায়নিক উপাদান যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলায় একদিকে হুমকিতে পড়ছে পরিবেশ অন্যদিকে বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যশোরে দিনে গড়ে ২০ লাখ টাকার ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের পণ্য বিকিকিনি হচ্ছে।  অথচ এসব পণ্যর ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। 
কাচের কাপে করোনাভাইরাস দীর্ঘ সময় বাঁচে—এমন গুজবে হঠাৎ করেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। ভোক্তারা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোনো কিছু না ভেবেই প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম কাপে চা, পানি ও খাবার খেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন।

যশোর বড় বাজার এলাকার দোকানি সাইফুল ইসলাম জানান, করোনার আগে শুধু বিভিন্ন হোটেলগুলো তাঁদের দই, রসমালাই ও বিরিয়ানি-তেহারি বিক্রির জন্য প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম পণ্য কিনতেন। তখন প্লেট, গ্লাস ও চায়ের কাপ তেমন একটা বিক্রি হতো না। দিনে মাত্র কয়েক হাজার টাকার বিকিকিনি হতো। তবে করোনার পর এর বিকিকিনি কয়েক গুণ বেড়েছে। 
শহরের হাটখোলা রোডের ব্যবসায়ী পরিতোষ কুমার জানান, করোনা শুরু হওয়ার পর প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট বিক্রি করেছি। প্রতিদিনই ক্রেতা বাড়ছে। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও এসব কিনছেন ক্রেতারা।

শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকার চা দোকানি আরমান হোসেন জানিয়েছেন, আগে কাচের গ্লাসে করে চা দিতাম। কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর মানুষ গ্লাসে করে চা খেতে চায় না। তাই বাধ্য হয়েই প্লাস্টিকের চায়ের কাপ কিনতে হচ্ছে আমাদের।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবির কবির জানান, আগে যশোরে দিনে মাত্র দুই-তিন লাখ টাকার প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম পণ্য বিক্রি হতো। কিন্তু করোনার পরে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ টাকার এসব পণ্য বিভিন্ন বিপণিবিতান থেকে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

যশোর সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক ওবায়দুল কাদির উজ্জ্বল বলেন, না বুঝেই ভোক্তারা এসব প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস ও কাপে খাবার-পানীয় খাচ্ছেন। এতে পলিভিনাল ক্লোরাইড, পলিস্টাইরিন, পলিইথিলিন টেরেফটালেট, হাই ডেনসিটি পলিইথিলিনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।

প্লাস্টিকের প্রভাবে হৃদ্‌রোগ, লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে। বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, হাঁপানি ও চর্মরোগ। প্রজননক্ষমতা কমে গিয়ে সৃষ্টি হতে পারে বন্ধ্যত্ব। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায় প্লাস্টিকের পণ্যে খাবার খেলে।

এ ব্যাপারে কথা হয় যশোর সরকারি এম এম কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোলজার রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্লাস্টিকের বর্জ্যর কারণে মাটি, পানি ও বায়ু—পরিবেশের এ তিনটি উপাদানই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পুরো পৃথিবীর পরিবেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে।

যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় যশোরে নতুন করে প্লাস্টিকের পণ্য উৎপাদনের কারখানার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিকিকিনির ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট অন্য দপ্তরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৯ কোটির প্রকল্প, নেই সুফল

খুলনা পাউবোর যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ২৬ লাখ টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেল দুদক

মোংলা বন্দরে নিলামে উঠেছে ৭০টি দামি গাড়ি

টিসিবির পণ্য ক্রয়ের সিরিয়াল নিয়ে যুবদল নেতা মানিক হত্যাকাণ্ড

মেসির বিশাল ছবি এঁকে প্রশংসায় ভাসছেন খুলনার নয়ন মন্ডল

সুন্দরবনে ৩ বাঘের দেখা পেলেন পর্যটকেরা, তুললেন ছবিও

এমএম কলেজে বহিরাগতদের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মীদের সংঘর্ষ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার উন্নতি, ফের কমতে পারে ২৬ জানুয়ারি থেকে

লীগ বলয়ের সন্ত্রাসী রাকিবের বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা

ছাত্রলীগ নেতার ভেবে জামায়াত নেতার মাছ লুট: বিএনপির দুজন বহিষ্কার

সেকশন