মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)
‘ভাই ১২ তারিখে কি স্কুল খোলবে? যদি খোলে তালি, জনির জন্নি তো নতুন জামা বানাতি হবে। আগের জামা তো এখন আর ওর গায় হবে না।’ কথাগুলো বলছিলেন যশোরের ঝিকরগাছার বল্লা গ্রামের মিন্টু মোড়ল নামে এক অভিভাবক।
গণমাধ্যমে ১২ তারিখ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার খবর প্রচারিত হয়। এ সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই প্রতিনিধিকে ফোন করেন ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জনি আহমদের বাবা মিন্টু মোড়ল। তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরে দুশ্চিন্তার সুরে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
এদিকে গণমাধ্যমে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও প্রস্তুত করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে কোনো চিঠি না পেলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধোয়া-মোছাসহ আঙিনা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার বল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু আজগার বলেন, প্রতিষ্ঠান খোলার খবর টিভিতে শুনেছি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কোন চিঠিপত্র পাইনি। ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসতে না পারলেও শিক্ষকদের আসা লাগে। তারপরও প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, এখনো কোনো নির্দেশনার চিঠি পাইনি। তবে মনে করা হচ্ছে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণি খোলা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে। বাকি শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট চলবে।
আরও পড়ুন: