ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সব সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনের পর জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার, গণমাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজ প্রদান, গণমাধ্যমে প্রশাসনের বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার, সন্ত্রাসীদের বর্তমান অবস্থান ব্যাখ্যা এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আলটিমেটামসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের গণস্বাক্ষরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বক্তব্য দেন ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জোবায়ের হোসাইন, ত্রিশাল বার্তার সম্পাদক শামীম আজাদ আনোয়ার, সময় টেলিভিশনের ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ সাদিকুর রহমান, ত্রিশাল প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ নোমান ও মতিউর রহমান সেলিম।
মানববন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক তৈয়ব শাহনুর বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই থাকে। এসবকে কেন্দ্র করে তাঁরা অস্ত্রের মহড়াসহ প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকালও তাই হয়েছিল। সেখানে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অনেক সাংবাদিকও। তাঁরা নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ ইউজ করে বেঁচে যায়।’
মানববন্ধনে সাংবাদিক মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অতীতেও নানা ধরনের অপকর্ম করেছে। এদের নামে বড় বড় পত্রিকায় বারবার নিউজ হয়েছে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের ব্যাপারে নমনীয় আচরণ করে আসছে।’
ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলা যে কেউ করুক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে প্রয়োজনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীদের অতর্কিত হামলার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীবকে হামলা করা হয় সমিতির অফিসের সামনেই। এরপর সমিতির সভাপতি মো. ফাহাদ বিন সাঈদ তাঁকে উদ্ধার করতে আসলে তাঁকেও জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে পেটানো হয়।