জামালপুর প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা হুমকির অভিযোগে জামালপুরে দায়ের করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুর ১২টায় জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক।
তিনি বলেন, ‘জামালপুর বিএনপির এক জনসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ সাতজনের নামে মামলা হয়। দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। এ মামলায় আবু সাঈদ চাঁদ আদালতে হাজিরা দেন।’
আইনজীবী ফজলুল হক আরও বলেন, ‘এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তারের আবেদন করলে আদালত তাঁদের আদেশ মঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় জামিনে থাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাঁদের জামিন বহাল রাখেন।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার চাঁদকে জামালপুর কারাগারে আনা হয়। আজ সেখান থেকে আদালতে হাজিরা দিতে নেওয়া হয়। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তাঁকে আরও একটি মামলার হাজিরা দিতে রাজবাড়ী নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির এক জনসভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ।
এ ছাড়া জামালপুরে বিএনপির একটি সভায় বক্তব্য দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরির অভিযোগে আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৩ মে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। এই মামলায় চাঁদ ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।