পাবনা প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় পাবনার বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরাও রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল) ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগের দিন ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থের জোগানদাতা রাজিবুল হাসান রাজিবকে (৩৫)। তার বাড়ি পাবনা পৌর সদরের চক ছাতিয়ানী মহল্লার পাসপোর্ট অফিসের সামনে।’ তবে রাজিবের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘এখানে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সম্প্রতি পাবনাসহ রাজধানীতে যে নাশকতা হয়েছে তার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াত বা শিবিরের নেতা কর্মী। অযথা কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেও পুলিশ সজাগ আছে।’
এদিকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীদের। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিএনপির নেতা কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিদিনই গ্রেপ্তার চলছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে অনেকে নেতা কর্মীকে।’