সিলেট প্রতিনিধি
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপ লাইনের ওপর স্থাপিত প্রায় ২০ কিলোমিটার পাইপলাইনের ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সর্বশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত ১৬ মার্চ থেকে চলমান উচ্ছেদ অভিযানে এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম।
আমিরুল ইসলাম জানান, সিলেট শহরতলির দেবপুর থেকে কুমারগাঁও পর্যন্ত উচ্চ চাপ বিশিষ্ট ৪০০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিক গ্রহণকৃত কয়েক শতক ভূমি রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ওপর ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনের ওপর গড়ে উঠেছিল অন্তত এক হাজার অবৈধ সীমানা প্রাচীর, বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গত ১৬ মার্চ, ২৬ আগস্ট ও ১৫ সেপ্টেম্বর তিন দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ২০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের ভূমির ওপর অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা হয়। সর্বশেষ জৈন্তাপুরের ঘাটেরচটি, সিলেট সদর উপজেলার সীমান্তের আবাসিক এলাকা, বটেশ্বর, চুয়াবহড়, পীরের বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
আমিরুল ইসলাম বলেন, গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয়পাশে ন্যূনতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধিবহির্ভূত। কিন্তু এসব জায়গায় প্রায় এক হাজার অবৈধ দখলদারদের বছরখানেক সময় ধরে এসব জায়গায় স্থাপনা গড়ে তোলেন। তাদের কয়েকবার স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা আমলে নেননি। ভবিষ্যতে দক্ষিণ সুরমা ও পাঠানটুলা এলাকায় অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
জালালাবাদ গ্যাসের ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পর্যায়ক্রমে গ্যাস পাইপলাইনের ওপর সব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।