নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোম্পানি আইন সংশোধন নিয়ে যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্ধারিত কমিটি আইন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করার কথা। আইন সংস্কার ও পাস করতে নানা আনুষ্ঠানিকতার বিষয় থাকে। খসড়া প্রস্তুত করে অনলাইনে তা আপ করতে হবে। আইন সহজ করলে ভুঁইফোড় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করে। ব্যবসার নামে সুবিধা নেয়।
এসব ভেবেচিন্তে রাতারাতি আইন সংস্কার বা পরিবর্তন হয় না। গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘কোম্পানি আইন-১৯৯৪-এর সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘কোম্পানির জন্য যা কমপ্লায়েন্স দরকার, তা অনেকে করতে চায় না। নামমাত্র ঠিকানা ব্যবহার করে কোম্পানির অনুমোদন চায়। আইন সহজ করলে তো সব মেরে দেবে। কেউ বাড়তি খরচ দেখাবে। তবু যারা ব্যবসা করতে চায়, তাদের সবাইকে অনুমতি দিতে হবে। বাজারভিত্তিক অর্থনীতিতে বাধা দেওয়া যাবে না। কোম্পানি আসবে, চলবে, নয়তো মারা যাবে। সিন্ডিকেট বন্ধ করা
সহজ নয়, এটা অনেক বড় বিষয়। এসব নিয়েই বাজার চলে। তবে সিন্ডিকেট যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুতরাং বাস্তবসম্মত কারণে অনেক কিছু করা যায় না।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, ‘ব্যবসায়ী সমাজের আস্থা বৃদ্ধি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যমান কোম্পানি আইনের সংস্কার ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
এর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাত্মক ব্যবহারের মাধ্যমে অটোমেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়ানো এবং মেধাস্বত্ব আইনের ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।’