নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল সুবিধা এবং বিদ্যমান ভিসা জটিলতা দূর করার প্রস্তাব রেখেছে ঢাকা সফররত পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলটি এমন প্রস্তাব দেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পায়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আমন্ত্রণে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের (এফপিসিসিআই) ৩০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ১১ জনুয়ারি ৫ দিনের ঢাকা সফরে এসেছে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বাণিজ্যের পরিমাণ খুব কম। উভয় দেশেরই সুযোগ রয়েছে বাণিজ্যকে বাড়িয়ে নেওয়ার। এর জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ডায়ালগ হওয়া দরকার। নিজেদের মধ্য সম্ভাব্য সহযোগিতা উন্মোচন হবে এবং দুই দেশই এতে লাভবান হবে।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চাই। কিন্তু ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় তিনি এক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন, শিক্ষা, পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে। পাকিস্তান সরকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্কিম চালু করেছে। এ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা বাংলাদেশে ট্রেড এক্সপো আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দুই দেশের বাণিজ্য সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। বিশেষ করে চাল আমদানি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। এ ছাড়া সফরের এই সময়ে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।