নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) প্রশাসন ও অর্থ মোহাম্মদ নুর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অপর এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আজ রোববার বিষয়টি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পুলিশ ও এনটিএমসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা খন্দকার মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে জানতে আজ সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নুর আলমকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। তাঁকে ২০১৮ সালের চাকরি আইনের ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি রাজশাহী রেঞ্জে ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ পাবেন।
অপর এক প্রজ্ঞাপনে ডিএসবিতে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। তাঁকেও ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ধারা ৩৯ (১) বলা আছে, কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের প্রস্তাব বা বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করা হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি, অভিযুক্ত কর্মচারীকে তাঁর দায়িত্ব হতে বিরত রাখার আবশ্যকতা, তৎকর্তৃক তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা ইত্যাদি বিবেচনা করে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে।