নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাস দেওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নতুন ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা ঘোষণা করা হয়।
৫ দফা দাবি হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ; এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা; সব বর্ষের চলমান পরীক্ষা পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী চলমান রাখা; বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই চলমান সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তকরণ; উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সাত কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আগামী দুই দিনের মধ্যে টেবিলটকের আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির অধীনে চরম ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, ঢাবির অধীনে আমাদের পরিচয়-সংকটের বিষয়টি। সরকারকে আমাদের সমস্যার বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাঁরা (সরকার) আমাদের কথা শুনেছেন, দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন এবং সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্বাস দিয়েছেন, সে জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু গতকাল (সোমবার) সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ছয় দফা দাবির একটি বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য আমরা বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য ২৪ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিচ্ছি। ২৪ ঘণ্টা পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।’
এর আগে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও ও ঢাবির বাস সাত কলেজের সামনে দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।