অনলাইন ডেস্ক
আদালতের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের সেবা বন্ধ করা হয়েছে। তবে চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পরিষেবা পুনরায় চালুর কাজ চলছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পর এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শপথ নিয়েই সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) টিকটক এক বিবৃতিতে বলে, ‘আমাদের সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে টিকটকের পরিষেবা পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আমাদের সেবা প্রদানকারীরা কোনো শাস্তির মুখোমুখি হবেন না। ১৭ কোটিরও বেশি মার্কিন ব্যবহারকারী এবং ৭০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায় এর সঙ্গে যুক্ত আছেন।’
এর আগে গত শনিবার রাতে টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখিয়ে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্সের মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমেরিকানদের তথ্য পাচারের ঝুঁকি রয়েছে।
তবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আইন কার্যকর হওয়ার সময়সীমা আমি বাড়াব, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একটি সমঝোতা করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ উদ্যোগে ৫০ শতাংশ মালিকানা রাখুক।’
ট্রাম্প আরও জানান, একটি নির্বাহী আদেশ জারি করা হবে। এতে জানিয়ে দেওয়া হবে, কোনো প্রতিষ্ঠান টিকটকের সঙ্গে কাজ করলে তাদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে না।
গত শনিবার রাতেই টিকটক পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের একটি বার্তায় জানানো হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার আইন কার্যকর হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এর মানে হলো আপনি এখন থেকে টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে আমরা সৌভাগ্যবান যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি টিকটক পুনরায় চালু করতে কাজ করবেন। দয়া করে আপনারা অপেক্ষায় থাকুন।’
টিকটকের অ্যাপটি শনিবার অ্যাপল এবং গুগলের অ্যাপ স্টোর থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।