বিজ্ঞপ্তি
বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী গত শুক্রবার আইইউবিএটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুর রব। দিনব্যাপী আয়োজনে সাবেক শিক্ষার্থীরা গান, আড্ডা, স্মৃতিচারণা এবং বিভিন্ন গল্পে মেতে ওঠেন। তাঁদের একটাই পরিচয়—সবাই আইইউবিটিয়ান।
পুনর্মিলনীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাবেক শিক্ষার্থীদের সফলতার গল্প, বিগত বছরের উন্নয়নের আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
বিকেলে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউবিএটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইউবিএটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম এবং প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই অফিসের পরিচালক এ কে এম শরফুদ্দীন।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বক্তব্য দেন বিদায়ী সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. তানভীর রায়হান, জেনারেল ম্যানেজার, ডেলবার্গ সিমেন্ট ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএসসি।
অনুষ্ঠানে আইইউবিএটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরিফ মো. শাহেদ ইকবাল। উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন এ কে এম পারভেজ ইকবালসহ অনেকে।
কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. জোয়ারদার ফাহাদ বিন সহিদ (পল্লব) দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে পুনর্মিলনী শেষ হয়। অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর এ কে এম পারভেজ ইকবাল।
আইইউবিএটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে এটি। বর্তমানে উত্তরায় ২০ বিঘার নিজস্ব ক্যাম্পাসে ৬টি অনুষদে ১৪টি প্রোগ্রাম চালু আছে এই প্রতিষ্ঠানে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে এশিয়া ও আফ্রিকার ১২টি দেশের শতাধিক শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত পড়াশোনা করছেন।