বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন কঙ্গনা রনৌত। নাম ‘ইমার্জেন্সি’। একাধিকবার পেছানোর পর শুক্রবার ভারতে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। মুক্তির আগের দিন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সিনেমাটি। দুই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ‘ইমার্জেন্সি’ বাংলাদেশে মুক্তির জন্য আবেদনই করেনি কোনো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে ইমার্জেন্সির নিষিদ্ধের কারণ উল্লেখ করে ভারতীয় গণমাধ্যমে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ব্যান করার সিদ্ধান্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গেও জড়িত। বেশ কিছুদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ, এখনো যে অবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে তা বলা যায় না। তা ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দিয়েছিল। তাই সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
ইমার্জেন্সি সিনেমাটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলেও এ সিনেমা আমদানির জন্য কেউ আবেদনই করেননি বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানি কমিটির সদস্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ইমার্জেন্সি নামের কোনো সিনেমা বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানি কমিটিতে কেউ আবেদন করেনি। উপমহাদেশীয় ভাষার কোনো সিনেমা আমদানি করার জন্য সবার আগে এই কমিটি বরাবর আবেদন করতে হয়। এরপর বাকি কার্যক্রম। তাই নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি কোথা থেকে এল তা আমার জানা নেই।’
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ইমার্জেন্সি। যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশি ও বিদেশি হুমকির তথ্য জানিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু পরিচালনা নয়, কঙ্গনা সিনেমাটিতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। প্রযোজনাও করেছেন তিনি। এতে আরও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সুমন, শ্রেয়স তালপাড়ে, বিশাখ নায়ার প্রমুখ।
ইমার্জেন্সি সিনেমা নিয়ে ভারতেই নানা সমস্যার মুখে পড়েছেন কঙ্গনা। প্রথমে সেন্সর বোর্ডের কারণে সিনেমার মুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর টিজার প্রকাশের পর এ সিনেমায় শিখ সম্প্রদায়কে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করে ইমার্জেন্সি নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়। সর্বশেষ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল মুক্তি। অবশেষে নানা বাধা পেরিয়ে আলোর মুখ দেখছে সিনেমাটি।