বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
পাওনা টাকা চাওয়ায় নির্মাতা রুবেল আনুশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন প্রোডাকশন ম্যানেজার দ্বীন ইসলাম দিনার ও নির্বাহী প্রযোজক ইমাম হোসেন শামীম। রুবেলের শাস্তি চেয়ে নাট্য সংগঠনগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছেন দিনার। বিচারের দাবিতে ৩ জুন থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন।
দীর্ঘদিন ধরে নির্মাতা রুবেল আনুশের সঙ্গে কাজ করেন প্রোডাকশন ম্যানেজার দ্বীন ইসলাম দিনার। দিনার জানান, গত রোজার ঈদের আগ থেকে এ পর্যন্ত রুবেলের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং করেন তিনি। শুটিং শেষে পরিচালকের কাছে প্রোডাকশন বাবদ তাঁর পাওনা ১৪ লাখ টাকার বেশি। সেই টাকার চাওয়ার জেরেই তাঁকে ও শামীমকে মারধর করেন রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা। এরপর নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডে অভিযোগ করেন দিনার। ৮ জুন দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর।
কামরুজ্জামান সাগর বলেন, ‘দুই পক্ষ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ করলেই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। আমরা ৮ জুন দুই পক্ষকে নিয়ে বসব। সবকিছু বিবেচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করবে ডিরেক্টস গিল্ড।’ টেলিভিশন মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী জাফর অপু বলেন, ‘আমরা পরিচালক রুবেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে ভবিষ্যতে এ রকম অন্যায় না করতে পারে। আর্থিক অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে সে কারণে এভাবে কাউকে শারীরিক অত্যাচার করা অন্যায়। ৩ জুন থেকে কর্মবিরতিতে যাবে প্রোডাকশনের লোকেরা। দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পর্যন্ত চলবে আমাদের কর্মবিরতি।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দিনার বলেন, ‘রুবেল ভাইয়ের ফোন পেয়ে শুক্রবার রাত ৮টার সময় মগবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে যাই। সেখানে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুবেল আনুশের নেতৃত্বে তাঁর দলবল আমাকে জিম্মি করে। রাত ৮টা থেকে ভোর ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। এরপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ছেড়ে দেয়। সেখান থেকে বের হয়ে দ্রুত উত্তরার ইবনে সিনা হাসপাতালে যাই। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় যে আমার ডান পাশের কানের পর্দা ফেটে গেছে।’ এ সময় দিনারের সঙ্গে ছিলেন শামীম। তাঁকেও মারধর করা হয়। রুবেল আনুশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান শামীম।