মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
কিংবদন্তি অভিনেতা আলী যাকেরের স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছে সংগ্রহশালা ‘বাতিঘর’। আজ তাঁর জন্মদিনে উন্মুক্ত হবে এ সংগ্রহশালা। একই দিনে ছেলে ইরেশ যাকেরেরও জন্মদিন। বাবাকে ছাড়া এবারই প্রথম জন্মদিন তাঁর। ইরেশের সঙ্গে কথা বলেছেন মীর রাকিব হাসান।মীর রাকিব হাসান
সংগ্রহশালায় কী কী থাকছে?
বাবার ব্যবহার্য জিনিসপত্র, তাঁর গ্রন্থ ও চিত্রকর্মের নানা অনুষঙ্গ সাজানো থাকবে। একই দিন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ওয়েবসাইটও। বনানীর এশিয়াটিক সেন্টারে স্থাপিত হয়েছে এটি। বাবা ওখানে অফিস করতেন। নিয়মিত বসতেন। ওই জায়গাটা বাবার স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাচ্ছি। বাবার কাছের মানুষ ও পরিবারের মানুষদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি জায়গাটা দেখার জন্য।
আগামীতে সবাইকে দেখার জন্য উন্মুক্ত করব। এখন বাবার কিছু বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্য যাঁরা বেশ বয়স্ক, তাঁরা এখন ভিড়ের মধ্যে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তাই আপাতত তাঁদের জন্য জায়গাটা উন্মুক্ত করছি। উদ্বোধনটা তাই একদম ঘরোয়াভাবে করছি। আমার বোন শ্রিয়ার আরও অনেক প্ল্যান রয়েছে। শ্রিয়া বলতে গেলে এই পুরো ব্যাপারটির উদ্যোক্তা। আমি আমার বাবার ফটোগ্রাফির বইটা ডিজাইন করছি। সামনে এটাও পাবলিশড করব।
করোনার আগে ঘটা করেই পরিবার নিয়ে বাবা-ছেলে জন্মদিন পালন করতাম। বাসায় বা অফিসে আমাদের জন্মদিন পালন হতো। বাবা মারা গেলেন গত জন্মদিনের কয়েক দিন পরই। হয়তো আমার জন্মদিন আর ওভাবে পালন করা হবে না।
বাবা-ছেলের একসঙ্গে সর্বশেষ জন্মদিনটি কেমন কেটেছিল?
গত বছর হুট করেই বাবাকে নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়ি রতনপুর গিয়েছিলাম। ওখানে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। এর তিন সপ্তাহ পরই বাবা মারা গেলেন। তখন চিকিৎসকেরা অলরেডি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বলছিলেন যে সময় খুব একটা বেশি নেই। সবাই বলছিল— ওনার শরীর খারাপ, ওনাকে এখন এই ধকল দিও না। আমি একরকম জোর করেই নিয়ে গেলাম। বাবা যে কী খুশি হয়েছিলেন! চলে যাওয়ার আগে রতনপুরটা দেখতে পেরেছেন এটাও আমার কাছে একটা তৃপ্তি। তিন ঘণ্টা যাওয়া-আসায় বাবার যতটা না কষ্ট হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি প্রশান্তি পেয়েছিলেন।
ফটোগ্রাফি তো করি। আমার প্ল্যান রয়েছে—বাবার স্মৃতিবিজড়িত যেসব জায়গা আছে, সেসব জায়গায় গিয়ে ছবি তুলব।