কূটনৈতিক প্রতিবেদক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃত্ব দানে বাংলাদেশের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন ‘লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট’–এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বাংলাদেশসহ অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি।
মার্কিন দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
জলবায়ু নীতি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে জন কেরির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের বিষয়টিও আলোচনায় সামনে এসেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই জন কেরি এ সফর করছেন। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ও ভালনারেবল টোয়েন্টি গ্রুপ অব ফাইন্যান্স মিনিস্টার্সের সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ও সহনশীলতা অর্জনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ। আসন্ন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে এর স্বীকৃতিই দেওয়া হবে।
জন কেরির সফর বিষয়ে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার আন্তর্জাতিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র কতটা গুরুত্ব দেয়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর সেটিই তুলে ধরেছে।